রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বেশ সরগরম পরিস্থিতি। প্রাথমিক এবং উচ্চশিক্ষা দপ্তরে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের দুর্নীতির প্রচুর অভিযোগ উঠছে। তবে এরপর দমকল বিভাগেও নিয়োগের বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। এমনকি অভিযোগের জেরে দমকল বিভাগের দেড় হাজার পদে নিয়োগে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। কলকাতা হাইকোর্টে আগামী সোমবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে। আবারো কি হাইকোর্টের সামনে রাজ্য সরকারের মুখ পুড়বে? সেটা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
জানিয়ে রাখা ভালো, ২০১৮ সালে অগ্নিনির্বাপন বিভাগে ১৫০০ ফায়ার অপারেটর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল রাজ্য সরকার। এরপর ২০১৯ সালে নিয়োগের জন্য লিখিত পরীক্ষা হয়। কিন্তু ফলপ্রকাশ হলে সমস্যা শুরু হয়ে যায়। অভিযোগ ওঠে যে ওই লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে ভুল প্রশ্ন ছিল। এছাড়া স্পোর্টস কোটা ও অগ্নিনির্বাপন প্রশিক্ষণ শংসাপত্র থাকলে যে অতিরিক্ত নম্বর দেওয়ার কথা, তা দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি আবার অনেকেই অভিযোগ জানান যে সাধারণ চাকরিপ্রার্থীকেও তফশিলি কোটায় চাকরি করে দেওয়া হয়েছে।
এই সমস্ত অভিযোগ নিয়ে প্রথমেই চাকরিপ্রার্থীরা স্যাটের দারস্ত হয়েছিল। সেখানে আরজি খারিজ হলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় চাকরিপ্রার্থীরা। সেই মামলার শুনানি হয় আজ অর্থাৎ সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশচন্দ্র ট্যান্ডন এবং বিচারপতি সম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে আগামী সোমবার। তাই নিয়োগের ওপর এক সপ্তাহ অর্থাৎ আগামী মঙ্গলবার অব্দি অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদের জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আপাতত হাইকোর্টের এই রায়ে দমকলের ১৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ অনিশ্চিত হয়ে পড়ল।