বাঙালীর সবচেয়ে বড় উৎসবের আগেই উত্তরবঙ্গের জন্য আশঙ্কার কথা শোনালো আলিপুর আবহাওয়া দফতর। রবিবার থেকে উত্তরের জেলাগুলিতে হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ অতি ভারী বৃষ্টি। আর পুজোর মুখে এমন কথা শুনে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে পুজো উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কপালে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাত্রিবেলা থেকেই কোচবিহার, জলপাইগুড়ি-সহ উত্তরের জেলাগুলিতে শুরু হয়েছে অতি ভারী বর্ষণ। রবিবার আরও বেড়েছে বৃষ্টিপাতের প্রাবল্য। যার জেরে জেলাগুলির বিস্তীর্ণ এলাকায় জমেছে জল। একইসাথে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দৈনিক জনজীবন। বন্ধ হয়েছে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ। পাশাপাশি পুজোর মুখে বৃষ্টিপাতের কারনে কার্যত ক্রেতাশূন্য হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাজারগুলি। যার ফলে লোকসানের চিন্তায় ঘুম উড়েছে বিক্রেতাদের।
জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়িতে এবছর পুজা হচ্ছে ৪১ টি। গ্রামীণ এলাকায় সে সংখ্যা ১৩৬। তবে পুজো মাত্র এক সপ্তাহ বাকি থাকলেও শেষ হয়নি কোনও মণ্ডপসজ্জার কাজ। এবিষয়ে এক মণ্ডপশিল্পীর বক্তব্য, “খুব চিন্তায় পড়েছি। এই বৃষ্টিতে কিভাবে পুজো হবে? সময় মতো প্যান্ডেলের কাজ শেষ করতে পারব কিনা, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে”। শুধু মণ্ডপশিল্পীই নন, পুজো উদ্যোক্তাদের মুখেও শোনা গেল একই আশঙ্কার কথা।
গত বছর করোনার কারনে পুজো উজ্জাপন হয়েছিল অনাড়ম্বরেই। বিক্রিবাটার পরিমান ছিল খুবই নগন্য। এবছর করোনা পরিস্থিতি হাতের নাগালে আশায়, লাভের আশা দেখছিলেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। তবে পুজোর আগে বেলাগাম বৃষ্টি তাঁদের আশায় কার্যত জল ঢেলেছে। কোচবিহার জেলার ব্যবসায়ীদের মুখে শোনা গেল দুশ্চিন্তার কথা। এক ব্যবসায়ীর কথায়, এমনিতেই বাজারে মানুষ কম। তার উপর শনিবারের বৃষ্টি পুজোর বাজার পণ্ড করে দিল।
আপাতত আবহাওয়া দফতর সূত্রের খবর, আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত অতি ভারী বৃষ্টিপাত চলবে উত্তরের জেলাগুলিতে। এমতাবস্থায় প্রশাসনের আশঙ্কা, শুধু নদীগুলির জলস্তর বাড়াই নয়, প্রবল বর্ষণের জেরে মাটি আলগা হয়ে ধ্বস পর্যন্ত নামতে পারে পাহাড়ি এলাকাগুলিতে। বৃষ্টির বাড়াবাড়িতে তীব্র সমস্যায় উত্তরবঙ্গবাসীরা।