দাবদাহের কবলে বঙ্গ। গতকাল পানাগড়ের ৪২ ডিগ্রি রেকর্ড ভেঙে আজ ৪৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ। উত্তর ২৪ পরগনার দমদম, ব্যারাকপুরে ৪০ ছুঁই ছুঁই। নিউটাউন, কলকাতার তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রির আশেপাশে। তীক্ষ্ণ রোদের ফলার জেরে বাড়ছে অসুস্থতার পরিমাণ। জানা গিয়েছে, আগামী ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত অবস্থার কোনো পরিবর্তন হবে না। এমনকি কালবৈশাখীর পূর্বাভাসও নেই বললেই চলে, উল্টে তাপপ্রবাহ চলবে সকাল ১১ থেকে ৪ পর্যন্ত। কী এই তাপপ্রবাহ? মৌসম ভবন জানাচ্ছে, কোনও একটি সমভূমি এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে অথবা পাহাড়ি এলাকার ক্ষেত্রে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের উপরে উঠে গেলে তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়ে থাকে। আর এর ফলে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা বাড়ে প্রচুর পরিমাণে।
এমতবস্থায় প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ তো বটেই শিশুদের অবস্থা বেশ ভাবাচ্ছে। বিশেষত যারা স্কুলগামী। কারণ বেশীরভাগ স্কুলেই সিন্থেটিক পোষাক, সরকারি স্কুলের ক্ষেত্রে একটি বেঞ্চে গাদাগাদি ভিড় এবং হাওয়ার অভাব। ছাত্রছাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশী। আর এই কারণেই গরমের ছুটি এগিয়ে নিয়ে আসার কথা ভাবা হচ্ছে। মে-র প্রথম সপ্তাহের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিক ও একাদশের পরীক্ষা শেষ। প্রথমে ঠিক ছিল ২৪ মে থেকে গরমের ছুটি পড়বে। কিন্তু তাপমাত্রার পারদের কথা চিন্তা করে ছুটির দিন এগিয়ে আনার বিষয়ে ভাবছে স্কুল শিক্ষা দফতর। যদিও সরকারিভাবে এখনও কিছু ঘোষনা করা হয়নি।
এদিকে, এহেন গরমে কীভাবে সুস্থ থাকবেন? কী কী নিয়ম মেনে চলবেন? বিশেষজ্ঞরা বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু যাদের একান্তই বেরোতে হবে তারা হালকা রঙের সুতির পোশাক পড়ুন, সঙ্গে রাখুন ছাতা, টুপি। জল পান করুন প্রচুর পরিমানে। সঙ্গে খান লস্যি, ডাবের জল, আখের রস। ভাজাপোড়া এড়িয়ে লঘুপাচ্য খাবার গ্রহণ করুন। কায়িক পরিশ্রমের কাজ কম করুন এইসময়। গর্ভবতী ও অসুস্থদের বিশেষ নজরে থাকা দরকার। হিটস্ট্রোকের লক্ষণের উপর নজর রাখুন, শরীরে অস্বস্তি হলে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।