মানুষ নিজে সচেতন না হলে, কার সাধ্যি আছে তাকে ঠেকানোর? তবুও চেষ্টায় কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না রাজ্য সরকার। তাই আরও একবার বৃথা চেষ্টা! স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকর গুটখাসহ বিভিন্ন তামাকজাত দ্রব্য। এই সমস্ত দ্রব্যের ওপর বাড়তি করও বসিয়েছে রাজ্য সরকার। তাতেও মেলেনি সুরাহা। খোলা বাজারেই দেদার বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে গুটখা, পান মশলাসহ একাধিক তামাকজাত দ্রব্য নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেও ২০১৩ সালেও এক বছরের জন্যে পশ্চিমবঙ্গে খৈনি, গুটকা, পানমশলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শুধু ঘোষণাতে কোনও কাজই হয়নি। আইন তোয়াক্কা না করেই দোকানে দোকানে পাওয়া যাচ্ছিল খৈনি, গুটকা, পানমশলা।
তবে এবার ফের একই পথে হেঁটে পশ্চিমবঙ্গেও একবছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে চলেছে গুটখা, পান মশলা। সরকারি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, "চলতি বছরের ৭ নভেম্বর থেকে পশ্চিমবঙ্গে গুটখা, পানমশলার মতো তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রি এবং সংরক্ষণ ও সেবন নিষিদ্ধ হতে চলেছে।" তবে এবারেও এক বছরের জন্য এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, ২০০৬ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জনসাধারণের স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেই বিবৃতিতে জানিয়েছে রাজ্য সরকার।