বৃহস্পতিবার রাত্রে বাঁকুড়ার বড়জোড়া জঙ্গল থেকে বেরিয়ে বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর বিট এলাকায় আচমকাই ঢুকে পড়ে এক দলছুট দাঁতাল। তারপরেই শুরু করে তাণ্ডব। একের পর এক দোকানের শাটার, দরজা ভাঙতে থাকে হাতিটি। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন ঐ এলাকা।
সুত্রের খবর, গত ১৯শে অগাস্ট খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ার সোনামুখীতে এসে হাজির হয় দলমা থেকে আসা এক পাল দাঁতাল হাতি। পরে সেই দল বিভিন্ন ভাগে ভাগ হয়ে যায়। যার মধ্যে ১২টি বৃন্দাবনপুর রেঞ্জ হয়ে পৌঁছায় বড়জোড়া রেঞ্জে। তবে আসার পথে ১২টির মধ্যে তিনটি হাতি দলছুট হয়ে পরে, যারা এখন মাথাব্যাথার কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে বড়জোড়া এবং বেলিয়াতোড় রেঞ্জের এলাকাবাসীর কাছে।
শুক্রবার ভোরে তিন দাঁতালের একটি হাজির হয় বেলিয়াতোড় রেঞ্জের বৃন্দাবনপুর ও সাগরাকাটা এলাকায়। খাবারের সন্ধানে সে চারটি দোকানে হানা দেয় এবং দোকানগুলির শাটার ভেঙে, দোকানের ভিতরে থাকা সামগ্রী খেয়ে চম্পট দেয়। শুধু দোকানপাটই নয়, আসা যাওয়ার পথে পা মাড়িয়ে বিস্তীর্ণ কৃষিজমিও নষ্ট করে হাতিটি।
ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই নাজেহাল এলাকাবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, বার বার বনদপ্তরকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। তাঁরা না তাড়াচ্ছেন হাতি, না গ্রামবাসীদের দিচ্ছেন কোনও ক্ষতিপূরণ। যদিও বনদপ্তরের দাবী, তাঁদের কাছে হুলা পার্টির বিপুল পরিমান মজুরি বয়েকা থাকার জন্যই তাঁরা এই মুহূর্তে হাতি তাড়াতে পারছেন না। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারী নিয়ম মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলেই দাবী বনদপ্তরের আধিকারিকদের।
তবে শুধু বেলিয়াতোড়ই নয়, এদিন সকালে ঝাড়গ্রাম সংলগ্ন জাতীয় সড়কেও দেখা মেলে এক দলছুট দাঁতালের। সকাল বেলায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘণ্টাখানেক দাপিয়ে বেড়ায় সে। যার জেরে বালিভাসা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে প্রায় একঘণ্টা বন্ধ থাকে যান চলাচল। শেষপর্যন্ত বনদপ্তরের কর্মীদের হস্তক্ষেপে দলছুট দাঁতালটি কব্জায় আসে এবং জঙ্গলে ফিরে যায়।