একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসার পর আজ অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল। নিয়ম অনুযায়ী সময়মতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) ও বিধানসভার স্পিকার বিধানসভায় হাজির হয়ে অধিবেশন শুরু করেন। প্রথা অনুযায়ী আম্বেদকর মূর্তিতে মাল্যদানের পর রাজ্যপালের উদ্বোধনী ভাষণ দিয়ে বিধানসভার কার্যপদ্ধতি সূচনা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানেই ঘটে বিপত্তি। রাজ্য বিধানসভায় বাজেট ভাষণ শুরু হতেই বিজেপি বিধায়করা হই হট্টগোল করতে শুরু করেন। ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। গেরুয়া নেতারা ভোট-পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের ছবি নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। সেখানে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari)। পাল্টা তৃণমূল বিধায়করা হই হট্টগোল জুড়ে দেন। স্লোগান ওঠে, "জয় বাংলা"। এরকম বিশৃংখল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই বাজেট ভাষণ অসম্পূর্ণ রেখে মাত্র ৪ মিনিটের মধ্যে বিধানসভা থেকে বেরিয়ে আসেন রাজ্যপাল। ঘটনার জেরে বাজেট অধিবেশনের কার্যপদ্ধতি শুরুতেই বিঘ্নিত হয়েছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছেন, "আজ অধিবেশনের প্রথম দিন। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির সদস্যরা পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আশীর্বাদ পেয়েছি। রাজ্যপালের ভাষণের যে বক্তব্য রাজ্য সরকার লিখে দিয়েছিলেন তাতে ভোট-পরবর্তী হিংসার কোন উল্লেখ নেই। ভোটের পর আমাদের ৪১ জন কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু উল্টে বলা হয়েছে যে নতুন সরকার গঠনের আগেই হিংসা হয়েছে। এই দায় নির্বাচন কমিশনের। হিংসার কথা ভাষণে উল্লেখ করা হলে আমরা প্রতিবাদ করতাম না।" সেই সাথে তিনি মমতা সরকারের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করে বলেছেন, "রাজ্যপালের ভাষণ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেটের লিখে দেওয়া ভাষণ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর একাধিক মহিলার উপর অত্যাচার হয়েছে এবং সেই ছবি আজকে আমরা দেখিয়েছি। আমরা সংসদীয় গণতন্ত্রের নিয়ম মেনেই প্রতিবাদ করেছি। শ্লোগানের মাধ্যমে আমরা গেরুয়া কর্মীদের ব্যথা-বেদনা প্রকাশ করেছি।"