রবিবার অর্থাৎ বাম ব্রিগেড সমাবেশের দিন আইএসএফ কর্মীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের অশান্তিকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়ের দুর্গাপুর এলাকা। এরপরেই আব্বাস সিদ্দিকীর দল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ) কর্মীর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, বারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়াল ভাঙড়ে। ইতিমধ্যেই, বোমা ও অস্ত্র রাখার অভিযোগে চার আইএসএফ (ISF) কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, আইএসএফ কর্মী জলিল মোল্লার বাড়িতে বোমা তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে মজুত রয়েছে অস্ত্রও। এই খোঁজ গোপন সূত্রে পৌঁছে যায় প্রশাসনের কাছে, এরপরই জলিলের বাড়িতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সেখান থেকেই মেলে বোমা তৈরির সামগ্রী সহ বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র। এরপরই জলিল মোল্লা-সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি ধৃতদের নাম জাহাঙ্গির মোল্লা, মফিজুল মোল্লা, রবিউল শেখ। অনুমান করা হচ্ছে, নির্বাচনে অশান্তির উদ্দেশেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল। ঘটনার নেপথ্যে আর কে বা কারা জড়িত, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই ধৃতের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
তবে অভিযোগ, 'আইএসএফ সমর্থক হওয়ায় তাঁদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।' এ বিষয়ে জলিল বলেন, ‘‘আমার ছেলে আব্বাস সিদ্দিকীর দল করায় একাধিক বার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতারা। এমনকি, প্রাণনাশেরও হুমকিও দেওয়া হয়। এ বার মিথ্যে অভিযোগে আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।’’