করোনার করাল ছায়া গোটা বিশ্বের চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে গত কয়েকবছর ধরে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা এই ভাইরাসের মোকাবিলার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে গবেষণা করে চলেছেন। ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়াতে এই অতিমারির প্রভাব কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলেও তা নিশ্চিহ্ন হয়নি। বেশ কিছুদিন ধরে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজার একটি অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছিল। তারা ৭৭৫ জন প্রাপ্তবয়স্কের ওপর এই অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের প্রাথমিক প্রয়োগ করেছিল। জানা গিয়েছে, এই ওষুধ খাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার হার ১ শতাংশ ছিল এবং তাদের মধ্যে কেউ মারা যায়নি। কিন্তু অন্য একটি ট্যাবলেট খাওয়া ব্যক্তিগোষ্ঠীর মধ্যে ৭ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং ৭ জন মারা যান।
এই প্রয়োগের পরই ফাইজারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে তাদের অ্যান্টিভাইরাল ট্যাবলেট ৯০ শতাংশ পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি এবং মৃত্যু রোধ করতে সক্ষম। এরপর তারা কিছুদিন আগেই ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা আমেরিকার FDA এর কাছে ট্যাবলেট প্রয়োগের সবুজ সঙ্কেত পাওয়ার জন্য আবেদন করে। জানা গিয়েছে, FDA গত বুধবার ওই অ্যান্টিভাইরাল করোনার ট্যাবলেটিকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এটি প্রথম ট্যাবলেট যা করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রনের সাথে লড়াই করতে পারবে। অনুমতির পরই কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে তারা জরুরী ভিত্তিতে এই ওষুধটি আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করতে পারবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার সরকার ওই কোম্পানির থেকে ১০ মিলিয়ন ট্যাবলেট কোর্সের অর্ডার দিয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কোম্পানির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে করোনার লক্ষণ দেখা দিলে টানা ৫ দিন ১২ ঘন্টা অন্তর এই ওষুধ নেওয়া যাবে। আক্রান্তের স্থূলতা, ডায়াবেটিস বা হার্টের সমস্যা থাকলেও এই ওষুধ কার্যকর হবে।