অনেক দিন ধরেই অভিযোগ ছিল বৌমার উপর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের অত্যাচারের কথা। সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি চলে আসে মেয়েটি। কিন্তু মানসিক অবসাদে আত্মঘাতীর সিদ্ধান্ত নেয়, তেমনটাই পরিবার সূত্রে দাবি। এদিকে বৌমার মৃত্যুর পর শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের ভাবগতিক বদল। শ্বশুরমশাই নিজেই হাজির হাসপাতালে। এদিকে ওৎ পেতে বসে আছেন রোষানলে দগ্ধ মেয়ের পরিবারের লোকজন। শ্বশুরকে দেখেই বেদম প্রহার। শ্বশুরমশাইয়ের আস্তানা এখন হাসপাতালের বেড।
ঘটনাটি নদিয়ার শান্তিপুর এলাকার। মৃতা বধূর নাম সাধনা ব্রাহ্মণ। সূত্রের খবর, সাধনার বিয়ের পর তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে অকথ্য অত্যাচার করত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে তিনি বাপের বাড়ি চলে আসেন। দিনে দিনে মানসিক যন্ত্রণায় জর্জরিত সাধনা শেষমেশ আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন, খবর তেমনটাই।
সোমবার রাতে বাপের বাড়ির লোকজনদের অগোচরে গলায় ফাঁস লাগায় সাধনা। মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। ঘটনার খবর পৌঁছায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের কাছে। ছুটে আসে সাধনার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। বাড়ির বৌমার মৃত্যুর খবর শুনে ছুটে আসেন শ্বশুরমশাই। সাধনার শ্বশুরকে দেখেই বাপের বাড়ির লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। চড়াও হন সাধনার বাপের বাড়ির লোকজন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শ্বশুরমশাই। ঘটনার পর এলাকায় তুমুল চাঞ্চল্য।