এ যেন বলিউডি সিনেমার চিত্রনাট্যকেও হার মানায়! নকল পুলিশ সেজে প্রায় আড়াই লক্ষাধিক টাকার সোনার গহনা হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার পর সকলে তো সে কথাই বলছেন। পুলিশের পোশাকে মানুষের কাছে জনসচেতনতার পরিচয় দিয়ে বাস্তবে সোনার গহনা হাতিয়ে চম্পট দেওয়ার পর রীতিমত থ সাধারণ মানুষ!
ঘটনাটি দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতি বাজারের। বৃহস্পতিবার সকালে দুর্গাপুর ইস্পাত নগরীর গুরু নানকের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তুষার সরকার মোবাইল সারাতে বেনাচিতি বাজারে গিয়েছিলেন। সূত্রে খবর, বেনাচিতি বাজারের ঘোষ মার্কেটের এক মোবাইল রিপিয়ারিং দোকানে গেলে দোকানের ম্যানেজার জানান, এই মুহূর্তে কর্মী নেই, বাজারের অন্যান্য কাজ সেরে আসতে বলা হয়। সেইসময়ই ভরা বাজারে তিনি এই জালায়াতির শিকার হন বলে খবর।
সূত্র মারফত খবর, তুষারবাবু দোকান থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর রাস্তার একপাশ দিয়ে হাঁটছিলেন। এমন সময় এক বছর তিরিশের যুবক পথ আটকে রাস্তার ওপারের একজনকে দেখিয়ে বলেন, আপনাকে স্যার ডাকছেন। তুষারবাবু যেতেই সেই দু'জন ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে তল্লাশি শুরু করেন। তখনই তুষারবাবুর কাছ থেকে সোনার চেন, আংটি প্রভৃতি পান। তারা জানায়, এই ভরা বাজারে তিনি কেনই-বা এই মূল্যবান গহনা পরে আছেন। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এরপর পুরো ফিল্মি কায়দায় সমস্ত সোনার গহনা খুলিয়ে কাগজে মড়ক করে তুষারবাবুর ব্যাগে রেখে দেয়। তারা তুষারবাবুকে জানায়, সোজা বাড়ি চলে যেতে এবং এইসব গহনা নিয়ে যেন আর বাজারে না আসেন। তুষারবাবু হাঁটা দিতেই তারাও চম্পট দেয়। সন্দেহবশত ব্যাগে রাখা কাগজের মোড়ক খুলে দেখেন সোনার গহনার বদলে নুড়ি পাথর রাখা! যেন ছোটখাটো এক বলিউড সিনেমার দৃশ্য!
ঘটনার পর তুষার সরকার তৎক্ষণাৎ স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে খবর। তবে ভরা বাজারে এত মানুষের মধ্যে এমন ছিনতাইয়ের ঘটনায় রীতিমত আতঙ্কিত গোটা এলাকার মানুষ! পুলিশের ছদ্মবেশে এমন রোমহর্ষক হাত সাফাইয়ের ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।