অতি বর্ষণ ও ডিভিসি ( DVC) জলাধারের জলছাড়ার জোড়া ফলায় রাজ্যে বন্যা (Flood) পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন। এমন ধারা চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে মনে করছেন একাংশ।
টানা বৃষ্টির জেরে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ নদীর জলস্তর বেড়েছে। কিছু কিছু জায়গায় নদীবাঁধ ভেঙেছে। পাশাপাশি দামোদর অববাহিকা অঞ্চলের নদী গুলি টইটম্বুর। তার উপর ডিডিসি জল ছাড়ায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। হাওড়া ও হুগলির বিস্তীর্ণ এলাকা জলের তলায়। কিছু এলাকার মানুষকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ ও গোঘাট অঞ্চলের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। দ্বারকেশ্বর, মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ প্রভৃতি নদীর জলস্তর বেড়ে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। অন্যদিকে কুনুর, ভাগীরথী, অজয় প্রভৃতি নদী তীরবর্তী এলাকাও আশঙ্কাজনক।
হাওড়া হুগলির পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুধু ডিভিসি নয়, ইতিমধ্যেই মাইথন, পাঞ্চেত ও তিলপাড়া জলাধার থেকেও জলছাড়া শুরু হয়েছে। সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র এই ক্রমাগত জল ছাড়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এমনকী বীরভূমের বেশকিছু এলাকাও জলের তলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল মহকুমায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছ। অভিনেতা তথা সাংসদ দেব এ নিয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে নবান্নে ইতিমধ্যেই ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। এইসব এলাকার প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর।