দিনকয়েক আগেই শিশুসন্তান-সহ বালির একই পরিবারের দুই গৃহবধূর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয়েছিল রাজ্য। তার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও প্রায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapur) পিংলা। পাঁচ বছরের ছেলেকে টিউশন পড়াতে যাওয়ার নাম করে বৃহস্পতিবার সন্তান-সমেত বেপাত্তা হয়ে যান জনৈক গৃহবধূ। তবে বালির দুই গৃহবধূর মতো তাঁকে খুঁজে বার করতে হয়নি। নিজেই ফোন করে প্রেমিককে বিয়ে করার কথা জানিয়েছেন তিনি।
পিংলার গোবর্ধনপুর অঞ্চলের দনীচক এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূর নাম সুদেষ্ণা মাইতি। তাঁর স্বামী গোপাল মাইতি কর্মসূত্রে হাওড়াতে (Howrah) থাকেন। জানা গিয়েছে, গতকাল সকালে পাঁচ বছরের শিশুপুত্রকে পড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বাইরে বের হন সুদেষ্ণা। তারপর থেকে তাঁর আর হদিশ পাওয়া যায়নি। ফোন করলে পরিবারের লোকজন তাঁর মোবাইল সুইচড-অফ পান। এরপরেই পুলিশের দ্বারস্থ হন গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এদিকে শুক্রবার দুপুরে নিজের থেকেই বাবাকে ফোন করেন গৃহবধূ। জানান, মেদিনীপুরের এক যুবকের সাথে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা। সেই যুবককে তিনি বিয়ে করে নিয়েছেন বলেও জানান সুদেষ্ণা। এদিকে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে জানা গিয়েছে, এই প্রথম নয়, এর আগেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের (extra marital affairs) জেরে নিখোঁজ হয়েছেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, স্বামীর অনুপস্থিতিতেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন ওই মহিলা।
তবে এই খবর পাওয়ার পরেই নিজের সন্তানকে ফেরত দেওয়ার দাবী করেছেন মহিলার স্বামী গোপাল মাইতি। উল্লেখ্য, ১৫ ডিসেম্বর বালির নিশ্চিন্দা থেকে ৭ বছরের পুত্রসন্তান-সহ নিখোঁজ হয়ে যান একই পরিবারের দুই জা। পরে জানা যায়, দুই রাজমিস্ত্রিকে ভালোবেসে তাঁদের সাথে মুম্বাই পালিয়েছেন দুই গৃহবধূ। যদিও গত বুধবার মুম্বাইফেরত মুম্বাই মেল থেকে আসানসোল (Asansol) স্টেশনে হাতেনাতে ধরা পড়েন চারজন। ‘নিঃসঙ্গতা’র জন্যই এমন কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে দাবী করেন দুই মহিলা।