আবারও ধর্মীয় গোঁড়ামিকে কেন্দ্র করে যুগলকে হেনস্থার ঘটনা ঘটল রাজ্যে। এবার ঘটনাস্থল নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগর। বিধর্মে প্রেম করার ‘অপরাধে’ চুল কেটে নেওয়া হল যুগলের। প্রকাশ্যে করা হল হেনস্তাও। ঘটনায় অভিযুক্ত স্থানীয় এক প্রাক্তন বিজেপি নেত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সূত্রের খবর, গত বুধবার কৃষ্ণনগর গোয়ারিবাজার এলাকায় ঘোরাফেরা করছিলেন নিগৃহীত যুগল। এমন সময় তাঁদের পথ রুখে দাঁড়ান সেখানকার প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী বাবলি মুখোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেন, যুগলের মধ্যে তরুণটি করিমপুরের এক মুসলমান পরিবারের সন্তান। অন্যদিকে কিশোরীটি হিন্দু পরিবারের সন্তান। তাই ভিনধর্মের প্রেমে তাঁর ঘোর আপত্তি।
তবে নেত্রীর অসাংবিধানিক নিষেধাজ্ঞা মানতে নারাজ হন যুগল। অভিযোগ, এরপরেই তাঁদের প্রকাশ্যে হেনস্থা শুরু করেন অভিযুক্ত বিজেপি নেত্রী। তাঁদের মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। সকলের সামনে মারধোরও করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও এবিষয়ে প্রথমে তাঁরা পুলিশের দ্বারস্থ হননি।
এদিকে নিজের কর্মকাণ্ডের ছবি তুলে, ভিডিও করে নিজেই সামাজিক মাধ্যমে ছেড়ে দেন প্রাক্তন ঐ বিজেপি নেত্রী। আর নিজের কার্যকলাপ জাহির করতে গিয়ে আইনের জালে জড়িয়ে পড়েন তিনি। তাঁর প্রকাশিত সেই ছবি, ভিডিও পুলিশের নজরে আসে। মহিলার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয় পুলিশের তরফ থেকে। এরপরেই অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩২৩, ৩৪১, ৩৫৪, ১৫৩এ, ৫০০, ৫০০(১), ৫০৯ এবং ৩৪ নম্বর ধারায় মামলা রুজু করে পুলিশ। আদালতে পেশ করলে অভিযুক্ত মহিলাকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিন্দার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে।