মদের নেশা সর্বনাশা। আর মাদকাসক্তটি যদি হয় হাতি, তাহলে দ্বিগুন সর্বনাশ। মঙ্গলবার রাত্রে তেমনই ঘটনার সাক্ষী পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ার সীমান্তে থাকা সিমলাপাল এলাকা। সূত্রের খবর, দেশি মদের টানে রাতের অন্ধকারে গ্রামে ঢুকে তাণ্ডব চালায় হাতিটি। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এলাকায়। হাতির হামলায় ধূলিসাৎ হয়েছে দুবরাজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুঁটিয়াদহ গ্রামের ১২ টি কাঁচা বাড়ি।
হামলা প্রসঙ্গে বনদপ্তর জানিয়েছে, হাতিটির বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের গোয়ালতোড়ের জঙ্গলে। তবে দেশি মদের নেশায় প্রায়শই সে ঢুকে পড়ছে সারেঙ্গা রেঞ্জ এলাকায়। মঙ্গলবার রাতেও সে ঢুকে পড়ে লোকালয়ে। তার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ টি মাটির বাড়ি। ছাড়া পায়নি ওষুধের দোকানও। শুধু তাই নয়, আসা যাওয়ার পথে হাতির চাপে নষ্ট হয়েছে বেশ কিছু চাষের জমিও। গজরাজের এই কাণ্ডে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে বনদপ্তর।
এদিকে হাতির হানায় নাকাল এলাকার সাধারন মানুষ। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, গত ১০-১২ দিনে হাতির জ্বালায় জেরবার তাঁরা। হাতির আতঙ্কে তাঁরা জঙ্গল পেরিয়ে আড়তে সব্জি পর্যন্ত বিক্রি করতে যেতে পারছেন না। কর্তৃপক্ষের কাছে তাঁদের দাবী, যত শীঘ্র সম্ভব উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহন করে হাতিটিকে তার বাসস্থানে ফেরানোর উদ্যোগ নেওয়া হোক। তবে গ্রামবাসীদের আশ্বাস দিয়ে সারেঙ্গা রেঞ্জের বন আধিকারিক সুরজিত মজুমদার জানিয়েছেন, নতুন করে হাতির আক্রমণ ঠেকাতে সজাগ রয়েছেন বনকর্মীরা।