পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন স্থানে কয়লা পাচার কান্ডের তদন্তে অভিযান চালাল সিবিআই। এই চারটি রাজ্যের প্রায় ৪৫টি জায়গায় হানা দিয়ে ৪০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে সিবিআই। ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই এফআইআর এর অনুমতি প্রত্যাহার করার পরও এ নিয়ে পঞ্চমবার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই এর তরফ থেকে। এই কান্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার বিরুদ্ধে কোল্ডফিল্ডস সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার এবং তিন নিরাপত্তা আধিকারিকের সঙ্গে পরিকল্পনা করে এই পাচার চক্র চালানোর অভিযোগ এনেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়াও বেশ কিছুদিন আগে প্রভিডেন্ট ফান্ড সংক্রান্ত মামলায় আর্থিক তছরুপের ব্যাপারে কয়লা মন্ত্রকের কয়েকজন আধিকারিক এবং গরু পাচার চক্রে বিএসএফ কমান্ড্যারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধেও দায়ের হয়েছে অভিযোগ। এ বিষয়ে শশী পাঁজা বলেন, "এনডিএ ছেড়েছে সব জোটসঙ্গী, তাদের মধ্যে বিশ্বস্ত সঙ্গী কিছু রয়ে গেছে যেমন ইডি, সিবিআই। নির্বাচনের আগে মোদী-শাহরা উঠে পড়ে লেগেছেন"। পশ্চিমবঙ্গ সহ আরও আটটি রাজ্যের অন্দরে তল্লাশি চালানোর অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া বাকি যে ৭টি রাজ্যে তালিকায় আছে, রাজস্থান, মিজোরাম, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, কেরালা, ছত্তিশগড়। অনুমতি প্রত্যাহার সত্ত্বেও এই রাজ্যগুলিতে সিবিআইকে তল্লাশির জন্য চাপ দিচ্ছে কেন্দ্র।