দীর্ঘ ২৭ বছর পর এবার ডিওয়াইএফআইয়ের (DYFI) ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলন হতে চলেছে বাংলায়। আগামী ১২ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত চলবে এই সম্মেলন। ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যেই এর প্রস্তুতি তুঙ্গে। বিভিন্ন জায়গায় চলছে সমাবেশ, মিছিল। সঙ্গে সম্মেলনের খরচ সংগ্রহে মানুষের কাছে সাহায্য গ্রহণ। এর মধ্যেই মঙ্গলবার ছাত্রনেতা আনিস খানের বাড়ির সামনে থেকে শুরু হল সাইকেল মিছিল।
ডিওয়াইএফআই সূত্রে খবর, এদিন আনিস খানের খুনিদের শাস্তির দাবিতে আনিস খানের বাড়ি থেকে সাইকেল মিছিলের উদ্বোধন করলেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলনের ১২ই মে প্রকাশ্য সমাবেশে আসার বার্তা দেওয়া হয় আনিস খানের বাড়ি থেকেই। উপস্থিত ছিলেন বামপন্থী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বাংলার বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ মীনাক্ষি মুখার্জি।
দীর্ঘ কয়েক মাস কেটে গেলেও আনিস খান হত্যাকাণ্ডের কোন সুরাহা হয়নি। রাজ্য সরকারের গঠিত সিট (SIT) ইতিমধ্যেই হাইকোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে। যদিও সেই রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় আনিস খানের পরিবার। বারবার আনিস খান হত্যাকাণ্ডে পুলিশি তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিশেষত বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের অন্যতম প্রধান মুখ মীনাক্ষি মুখার্জি বারবার আনিস খান হত্যাকাণ্ড নিয়ে সরব হয়েছেন। ভোগ করেছেন কারাবাসও। এবার সেই বাম ছাত্র-যুব আন্দোলনের অন্যতম শরিক ডিওয়াইএফআইয়ের সর্বভারতীয় সম্মেলনের বিশেষ বার্তা দেওয়া হল আনিস খানের বাড়ির সামনে থেকেই বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, মাস কয়েক আগে এক রাতে জনাকয়েক ব্যক্তি পুলিশের পোশাক পরে আনিস খানের বাড়িতে আসে। তাদের মধ্যে তিনজনের সিভিক ভলান্টিয়ারের পোশাক এবং আর একজন পুলিশের খাঁকি পোশাক ছিল বলে দাবি আনিস খানের পরিবারের। নিজেদের আমতা থানার পুলিশ বলে পরিচয় দিয়েছিল। একজন আনিসের বাবাকে ঘরে আটকে রাখেন, বাকিরা আনিসকে তিনতলার ছাদে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর খুব জোর একটা শব্দ হয়। নীচে কিছু পড়ার শব্দে আনিসের বাবা আঁতকে ওঠেন। এরপরেই আনিস খান হত্যাকাণ্ড নিয়ে গর্জে ওঠে গোটা বাংলার যুব সমাজ। বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় চলে আন্দোলন। সেই আন্দোলনের ধারাকে জিইয়ে রেখে ১১ তম সর্বভারতীয় সম্মেলনের ১২ই মে প্রকাশ্য সমাবেশে আসার বার্তা দেওয়া হল আনিস খানের বাড়ি থেকেই, দাবি রাজ্য ডিওয়াইএফআইয়ের।