একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election) পর বড়সড় ভাঙ্গনের সম্মুখীন হচ্ছে বিজেপি। বঙ্গ গেরুয়া শিবিরে একের পর এক দলত্যাগী নেতারা তাদের পুরনো দলে ঘর ওয়াপসি করতে আগ্রহ দেখিয়েছেন। মুকুল রায়ের (Mukul Roy) তৃণমূলে যোগদানের পর এই পথ আরও প্রশস্ত হয়েছে। দলের বিরুদ্ধে বেসুরো গাইছেন নোয়াপাড়া কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল সিং। সেইসাথে সুনীল ঘনিষ্ঠ দুই কাউন্সিলর অশোক সিং এবং গৌতম বসু ইতিমধ্যেই একটি রক্তদান শিবিরে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। দলের এমন তথৈবচ অবস্থার মাঝে চলছে গোষ্ঠীকোন্দল বা লবিবাজি। যদিওবা গেরুয়া শিবিরে এই গোষ্ঠীকোন্দল নতুন অভিযোগ নয়। একুশে বিধানসভা নির্বাচনের আগে মুকুল বনাম দিলীপ গোষ্ঠীর দ্বন্দ ছিল বেশ পরিচিত। তবে এখন আর মুকুল রায় নেই। কিন্তু তাতেও লবিবাজি যাইনি। সৃষ্টি হয়েছে দিলীপ বিরোধী লবি।
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছে যে দলের অন্দরের অনেক কথাই জানতে পারছেন না দিলীপ ঘোষ। দিন কয়েক আগে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) যখন দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতাদের সাথে বৈঠক করতে গিয়েছিলেন তখন দিলীপ ঘোষ দাবি করেছিলেন বিরোধী দলনেতার দিল্লি যাত্রার কোন তথ্যই তার কাছে ছিল না। এছাড়া শুভেন্দু রাজভবন অভিযান সম্বন্ধে জানানো হয়নি দিলীপ ঘোষকে। এককথায় বলা যেতে পারে কেন্দ্রীয় বিজেপির সাথে সরাসরি যোগসুত্র স্থাপন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু বিজেপি রাজ্য সভাপতি হওয়া সত্ত্বেও দিলীপ ঘোষ সমস্ত কর্মসূচি সম্বন্ধে অন্ধকারে রয়েছেন। এখানে প্রশ্ন উঠছে তাহলে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে আসার পর কি গুরুত্ব পাচ্ছেন না দিলীপ ঘোষ?
অন্যদিকে সুনীল মণ্ডল বিজেপিতে যোগদানের পর মোহভঙ্গ হয়ে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ফের তৃণমূলে আসার চেষ্টা করছেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় কটাক্ষ করে বলেছেন, "ওঁর মাথার ঠিক নেই। উনি পাঁচ বছরের জন্য তৃণমূলের টিকিটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু দুই বছরের মধ্যেই তিনি দল ছেড়ে বিজেপিতে চলে গেলেন। কেন গেলেন? তার যথাযথ কোন কারণ নেই। আমরা বোঝাতে চেয়েছিলাম কিন্তু উনি আমাদের কথা শুনতে রাজি ছিলেন না। শুভেন্দু ওনাকে প্রলুদ্ধ করেছিল হয়তো। তাঁর সাংসদপদ খারিজের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সুনীল মণ্ডল কি বলছেন তাতে কিছু পরিবর্তন হবে না।"