ছুটি পেলেই বাঙালি দূরে না হোক ঘরের কাছে দিঘায় (Digha) বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন। অল্প সময়ের জার্নিতে এবং সাধ্যের মধ্যে খরচে এরচেয়ে সুবিধাজনক সময় কাটানোর জায়গা আর কীই-বা হতে পারে! দিঘায় এসে সমুদ্রতটে বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, কাঁকড়া ভাজা কিংবা দেশি মুরগী কষা খেতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু এই কাঁকড়া খেতে গিয়েই যে বিপত্তি ঘটতে পারে, আর পরিণামে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে তা কেই-বা জানত! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল দিঘাতে। কাঁকড়া খেয়েই মারা গেলেন বেহালার এক যুবক বলে অভিযোগ উঠেছে।
বাড়ির পরিজনদের সঙ্গে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলেন বেহালার বাসিন্দা বছর বাইশের সৌম্যদীপ সিকদার। ওল্ড দিঘায় বেড়ানোর সময় বাড়ির পরিজনদের সঙ্গে সমুদ্র স্নানের পর কাঁকড়া খান বলে খবর। খাওয়ার পরেই তিনি অসুস্থতা বোধ করেন। তৎক্ষনাৎ তাঁকে হোটেল রুমে ফিরিয়ে আনা হয়। হোটেলে এসে আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাধ্য হয়ে তাঁকে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয় বলে খবর।
কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু এ ঘটনা এর আগে দিঘায় কখনও ঘটেনি। আর দিঘা সমুদ্র সৈকতে দেদার বিক্রি হয় কাঁকড়া-সহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ ভাজা। তাহলে সৌম্যদীপের মৃত্যুর কারণ কী? পরিবার সূত্রে খবর, সৌম্যদীপের অ্যালার্জি ছিল। সঙ্গে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যাও ছিল। একদিকে হোটেলের ভারি খাবার খাওয়া, তার সঙ্গে সমুদ্র স্নানের পর কাঁকড়া ভাজা খাওয়া, সব মিলিয়ে তীব্র অস্বস্তি হয়। আর পরিণামে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
আরও খবর, সৌম্যদীপ একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। তিনদিনের ছুটি পেয়ে শুক্রবার সপরিবারে দিঘা বেড়াতে এসেছিলেন। আজ রবিবার ফিরে যাওয়ার কথা। যদিও এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুতে পরিবারে শোকের ছায়া। রবিবার সৌম্যদীপের পরিবারের হাতে ময়নাতদন্তের পর দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে। দিঘা থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।