এক সপ্তাহে দু’বার গণধর্ষণের ঘটনায় শিউরে উঠল উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা। গত বুধবারের পর ফের এই বুধবারেও ধর্ষণের শিকার হল এক নাবালিকা। ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার সোহাই শ্বেতপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হালোখোলা এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই ধর্ষণ কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে, এক নাবালক সহ দু’জনকে। ধৃতদের বৃহস্পতিবার বারাসাত জেলা আদালতে তোলা হয়।
নাবালিকার পরিবার সূত্রের খবর, মেয়েটির বয়স পনেরো। বাবা নেই, অতিকষ্টে সংসার চালায় মা। বুধবার সন্ধ্যেবেলায় পরিচিত দর্জির বাড়িতে মায়ের পাওনা টাকা আনতে গিয়েছিল সে। সেই সময় তাকে তুলে নিয়ে যায় রাহান সর্দার, মুস্তাকিন মণ্ডল এবং এক নাবালক। এরপর নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। তারপর সেখান থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তেরা। কোনও রকমে সেখান থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েটি পুরো ঘটনা তার দিদিকে জানায়। এরপরেই নাবালিকার পরিবারের তরফে মামলা দায়ের করা হয়।
নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে রাহান সর্দার এবং এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত মুস্তাকিন মণ্ডল পলাতক। পুলিশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, নাবালিকাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তার অবস্থা স্থিতিশীল। এই ঘটনায় গণধর্ষণের পাশাপাশি ভারতীয় দণ্ডবিধি পকসো আইনে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
