বর্ষা শুরু হতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা রোজদিন বাড়ছে। বিদ্যুৎবাহী তারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতার হরিদেবপুরের ঘটনার পর বাঁকুড়ার ঘটনা। এবার ফের হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? শনিবার রাতে কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ার মুসাপুরের বাসিন্দা সুব্রত মণ্ডল। কাজ শেষে সাইকেলেই ফিরছিলেন। বাড়ির পাশে বেশ কিছুটা দূরে ইলেকট্রিকের তার ছিঁড়ে পড়েছিল। তিনি বুঝতে পারেননি। সেই তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
এলাকার লোকজনের অভিযোগ, এই এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ইলেকট্রিকের কাটা তারা জোড়া রয়েছে। মাঝে মাঝেই সেই তার ছিঁড়ে পড়ে থাকে। বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির কারণে এই অকাল মৃত্যু দাবি এলাকাবাসীর। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বিদ্যুৎ অফিসে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। যার পরিণতিতে সুব্রত মণ্ডলের অকাল মৃত্যু, অভিযোগ এমনটাই।
বাতিস্তম্ভে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে হরিদেবপুরে এক বাচ্চার মৃত্যুর পর হইচই উঠেছিল। তারপর বাঁকুড়ায় দুই স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছিল বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতি নিয়ে। গতকাল রাতে মানিকতলার কাছে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। টিউশন শেষে ফেরার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে বর্ষার শুরুতে এমন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর পরপর ঘটনা নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ।