আমফানের ক্ষত মিটতে না মিটতেই রাজ্যে ফের হানা দিতে চলেছে যশ বা ইয়াস (Yaas)। কোভিড (Covid-19) আবহে পূর্ব উপকূলে গভীর আশঙ্কা তৈরি করেছে এই ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। এবারে এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম রেখেছে ওমান। আরবি ভাষায় যার অর্থ দুঃখ।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শনিবার আন্দামান সাগর লাগোয়া বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ দানা বাঁধতে চলেছে। এই নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তি সঞ্চয় করে গভীর থেকে সুগভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। সোমবার নাগাদ তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া বিভাগের পূর্বাঞ্চল শাখার ডেপুটি জেনারেল সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই ঘূর্ণিঝড় ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূল অঞ্চলে আসবে। আর বুধবার স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যগুলিতে বিশেষ নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। ঝড়ের মোকাবিলা করতে গিয়ে কোভিড চিকিৎসা যাতে ব্যাহত না হয় সে বিষয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর রাজ্যের কাছে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে একজন নোডাল অফিসার কেন্দ্রকে সব ধরণের তথ্য পাঠাবে। পাশাপাশি উপকূলবর্তী জায়গা গুলোতে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলার কথা বলা হয়েছে। ঝড়ে গাছপালা ভেঙে গিয়ে অক্সিজেন সরবরাহে যাতে কোন সমস্যা না হয় সেদিকে কড়া নজর রাখার কথা বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রশাসনকে সব ধরণের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে মাইকিংয়ের মাধ্যমে মানুষকে সতর্ক করার কাজ চলছে। বিভিন্ন স্কুল, সাইক্লোন সেন্টার গুলি জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। প্রাথমিক অনুমান দুই ২৪ পরগণা এবং দুই মেদিনীপুর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাই এই ৪ জেলায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেছে প্রশাসন। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে বারণ করে দেওয়া হয়েছে এবং যাঁরা গেছেন তাঁদের অতি দ্রুত ফিরে আসার কথা বলা হয়েছে। দুর্বল নদী বাঁধ গুলির মেরামতের কাজ চলছে। পাশাপাশি গঙ্গাসাগর, কাকদ্বীপ, নামখানা, গোসাবা, দিঘা, মন্দারমণি, খেজুরি প্রভৃতি উপকূলবর্তী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে প্রশাসন। শুকনো খাবার, জলের পাউচ, ওষুধ, ইলেকট্রিক খুঁটি মজুত রাখার কথা বলেছে প্রশাসন।