একুশের নির্বাচনে সিপিএমের ( Cpim) ভরাডুবির পর পার্টির অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভের চোরাস্রোত চলতে থাকে। কখনও কেউ প্রকাশ্যে আবার কখনও কেউ সরাসরি পার্টির গনতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলে বারবার শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়েছে। অনেকেই দলের প্রবীণ নেতাদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কেন দলের মধ্যে তরুণদের জায়গা হচ্ছে না, তা নিয়েও দলের অন্দরে বিস্তর ক্ষোভ। এবার তিনদিনের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দলের শীর্ষ স্তরে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা কমিয়ে সংগঠনে তরুণদের জায়গা দিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর। তিনদিনের বৈঠকের শেষদিন রবিবার এমন উদ্যোগের কথা শোনা গেছে কেন্দ্রীয় কমিটির (Central Committee) কাছে। এমন ব্যবস্থা চালু হলে দলের প্রবীণ সদস্যদের যে কেন্দ্রীয় কমিটির পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে, তা বলাই বাহুল্য।
অন্যদিকে দলের ২৩ তম পার্টি কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হতে চলেছে কেরলের কান্নুরে। তার আগে এ বছরের সেপ্টেম্বর অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে যাবে শাখা স্তরের সম্মেলন। ধাপে ধাপে এরিয়া, জেলা এবং রাজ্য স্তরে সম্মেলনের কথা বলা হয়েছে। তবে এবার কোভিড বিধির দোহাই দিয়ে এরিয়া কমিটির সম্মেলনে ছাঁকনির ব্যবহার করতে পারে আলিমুদ্দিন। অর্থাৎ সমস্ত শাখা সদস্য যে এরিয়া কমিটির সম্মেলনের সদস্য হবেন, এবার তা নাও হতে পারে। যদিও কোভিড বিধি-নিষেধের কথা বলা হচ্ছে, তবুও দলের অন্দরের খবর এরিয়া কমিটিতে গিয়ে নেতৃত্বদের নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে পারে। এমনিতেই দলের অন্দরে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছেই, এবার এরিয়া কমিটিতে যদি প্রকাশ্যে আসে তা দলের কাছে সত্যই বিড়ম্বনার।
কান্নুরে পার্টির ২৩ তম সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমা ৮০ থেকে কমিয়ে ৭৫ করার ভাবনা-চিন্তা চলছে। রবিবারের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনাও হয়েছে বলে সূত্রের খবর। পাশাপাশি দলের নেতৃত্ব তরুণদের উপর অনেকটাই দেওয়ার পক্ষপাতি একাংশ। বলা হচ্ছে দলের গুরুদায়িত্ব তরুণদের দেওয়া হোক, তবে প্রবীণরা নজরে রাখুক। কেরলে এই নীতি গ্রহণ করে পরপর দুবার ক্ষমতায় এসে ইতিহাস তৈরি করেছেন পিনারাই বিজয়ন সরকার। তাই এই কেরল মডেল অন্যান্য রাজ্যেও হোক চাইছেন পার্টির বেশ কিছু সদস্য। যদি এই নীতিই গৃহীত হয়, তাহলে অনেক বর্ষীয়ান নেতা ক্ষমতা হারাতে পারেন বলে খবর। এই অগাস্টে পার্টির বিশেষ বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হতে পারে বলে সূত্রের খবর।