এতদিন সমস্ত সরকারি অফিসে করোনা টিকাদানের ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। এবার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত দেখে বেসরকারি অফিসগুলিকেও টিকাদানের জন্য উপযোগী করে তোলা হবে। বেসরকারি অফিসগুলির মালিকপক্ষকেই সরকারের সাথে কথা বলে এই প্রক্রিয়ায় আগ্রহী হবার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। গতদিন এক বণিকসভার বৈঠকে এই বড়ো সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, এখন মানুষ নিজে থেকেই টিকা গ্রহণে উদ্যোগী হচ্ছেন, তাই সারা রাজ্য জুড়ে টিকাকরণের গতি আরও বাড়াতে হবে। পঁয়তাল্লিশ বা তার বেশী বয়সী বেসরকারি কর্মীদের টিকাদানের জন্য এগিয়ে আসতে হবে ওই বেসরকারি সংস্থাকেই। সোমবারই কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের চার লক্ষ ডোজ বাংলায় এসেছে এবং দৈনিক ৩০ হাজার মানুষকে টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে রাজ্য সরকার।
অন্যদিকে দেশের পাশাপাশি এ রাজ্যেও ক্রমশ উদ্বেগের বিষয় হয়ে পড়ছে দৈনিক সংক্রমণের উত্তরোত্তর বৃদ্ধি। ভোটের আবহেই রেকর্ড ছুঁয়েছে বাংলার দৈনিক করোনা সংক্রমণ। সোমবারের করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা( ৪৫১১ জন)-কে ছাপিয়ে গেল মঙ্গলবারের সংখ্যা (৪৮১৭ জন)। মৃত্যু হয়েছে ২০জনের। ৪২,২১৪ টি পরীক্ষিত নমুনার ভিত্তিতে গত চব্বিশ ঘন্টার পজিটিভিটি রেট ১১.৪১%। জেলার হিসেবে সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগণা ও হাওড়া।