বন্ধ ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার দম্পতির মৃতদেহ। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার ঘটনা। এই দম্পতির দুই মেয়ে গেছিল আঁকার স্কুলে। ফ্ল্যাটে ছিলেন এই দম্পতি। এই দম্পতির দুই মেয়ে আঁকার স্কুল থেকে ফিরে দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীদের সাহায্যে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভাঁঙে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা হয় এই দম্পতির মৃতদেহ। হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ এই দম্পতির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার অন্তর্গত ২২ বাই ২ নন্দলাল মুখার্জি লেনের একটি বহুতল ফ্ল্যাটের নীচের তলায় ভাড়া থাকতেন গৌতম মাইতি এবং মৌসুমি নামে এক দম্পতি। দুই মেয়ে সহ তারা মোট চারজন ফ্ল্যাটে থাকতেন। তাদের এক মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং অপর মেয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। দুই মেয়েই হাওড়ার একটি নামকরা স্কুলে পড়ে। রবিবার দিন দুই মেয়েই গেছিল আঁকার ক্লাসে। আঁকার ক্লাস থেকে ফিরে ফ্ল্যাটের দরজা বন্ধ দেখে দুই মেয়ে কলিং বেল বাজায়। কিন্তু কলিং বেল বাজানোর পরেও ভেতর থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে দুই মেয়ে প্রতিবেশীদের পুরো বিষয়টি জানায়। প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দরজা ভাঁঙে। ফ্ল্যাটের দরজা ভেঁঙে পুলিশ গৌতম মাইতি এবং মৌসুমির মৃতদেহ উদ্ধার করে। গৌতম মাইতির দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় এবং মৌসুমির মৃতদেহ মেঝেতে পড়েছিল।
এই মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি খুন সেই নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। গৌতম এবং মৌসুমির বড় মেয়ে এই বিষয়ে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে। বড় মেয়ে জানায় তার বাবা অর্থাৎ গৌতম মাহতি হাওড়ার একটি পানশালায় কাজ করতেন। সেখান থেকে তিনি রোজ রাত ১০ টায় বাড়ি ফিরতেন। তার মা সারাদিন নিজেকে ফেসবুকে ব্যস্ত রাখতেন। এই কারণে তার মা-বাবার মধ্যে অশান্তি হতো প্রায়ই। এই অশান্তি থেকেই কি স্ত্রীকে খুন করে সৌরভ মাহতি আত্মহত্যা করেন নাকি পুরোটাই একটা সাজানো ঘটনা তা এখনও জানা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ।