দেশের করোনা পরিস্থিতি দিনে দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। চলতি বছরের শুরুতে করোনার প্রভাব ছিল না বললেই চলে। তবে বর্তমানে মার্চ মাসের শেষ থেকে দৈনিক সংক্রমণের হার ১ লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছিল। করোনার গগনচুম্বী সংক্রমণ গ্রাফ রীতিমতো উদ্বেগে ফেলেছে দেশবাসীকে। এমনকি গত ২৪ ঘন্টায় সর্বোচ্চ রেকর্ড ভেঙে দিয়ে দৈনিক সংক্রমণ হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৩৭২ জনের। গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তার পাশাপাশি ক্রমশ ভয়াবহ হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের করোনা পরিস্থিতি। বাংলার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে নবান্ন। তারা জানিয়েছে, এবার থেকে চার রাজ্য অর্থাৎ মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা ও তেলেঙ্গানা থেকে বাংলায় প্রবেশ করতে গেলে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্ট লাগবে। এই রিপোর্ট যাত্রা শুরুর ৭২ ঘন্টা আগে হওয়া বাধ্যতামূলক।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ওয়েভে কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়েছে গোটা দেশবাসী। আপনি জানলে অবাক হবেন যে বর্তমানে গোটা দেশজুড়ে একটিভ করোনা কেস সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার ৮২৫ জন। আজ অর্থাৎ বুধবার রাত থেকে করোনার প্রকোপ থেকে বাঁচার জন্য মহারাষ্ট্র সরকার টানা ১৫ দিনের কার্ফু জারি করেছে। এই কয়েকদিন সর্বক্ষণ ১৪৪ ধারা জারি থাকবে মহারাষ্ট্রে। এছাড়াও কর্ণাটক, কেরল এবং তেলেঙ্গানার করোনা পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে।
করোনা
Sources: wbhealth.gov.in. Modified data from: api.covid19india.org (license) with WB district name translations.