এক স্মাগলারের কাছে একটা চাবি আছে, তালা অন্য একজনের কাছে। দুজন ঠিক দুজনকে চেনার উপায় এই তালা-চাবির মিলে যাওয়া। সিনেমায় এই দৃশ্য হামেশাই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে প্রায় একই জিনিসের উঠে এলো।
আসানসোল ও রানীগঞ্জ অঞ্চলে কয়লা পাচার কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা-র নানান অফিসে তল্লাশি চালিয়ে এমনই কিছুর খোঁজ পেলেন সিবিআই আধিকারিকরা। লালার অফিস থেকে এক বিশেষ ধরনের ‘রুট চালান রসিদ’ খুঁজে পেয়েছেন আধিকারিকরা। এই রুট চালানের মধ্যে একটা দশ টাকার নোট আঠা দিয়ে সাঁটানো। এলাকার কয়লা ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন ওটাই নাকি ‘কোড’। ওই বিশেষ ‘কোড’ পেতে প্রতি লরি পিছু ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা নিতো লালার সিন্ডিকেট। আর এই কোড দেওয়া চালান থাকলে রাস্তায় কোনো পুলিশ কখনও আটকাতোনা কয়লার গাড়িকে।
এই চক্রে অনুপ মাঝি বা লালার সাথে এলাকার পুলিশ এবং রাজনৈতিক নেতাদের যোগ ছিলো। তাদের কাছে নিয়ম করে টাকা পাঠাতেন তিনি। অনুমান করা হচ্ছে এই সিন্ডিকেট কয়লার পাচার বাবদ বাজার থেকে দিনে প্রায় ২০ কোটি টাকা তুলতো এই সিন্ডিকেট।