ভোটের দামামা বেজে গেছে। নির্বাচন কমিশনের সাথে দফায় দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। দিনক্ষণ ঘোষণার পর ঘোষিত হচ্ছে শাসক ও বিরোধী দলগুলোর প্রার্থীতালিকাও। তবে সুশৃঙ্খল শান্তিপূর্ণ অবাধ ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হোক, এটিই নির্বাচন কমিশনের কাছে সর্বাগ্রে দাবি শাসক থেকে বিরোধী প্রত্যেকেরই। তাই বিগত বছরগুলি থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে আবারও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল নির্বাচন কমিশন। এবারের নির্বাচনে কোনোপ্রকার সিভিক ভলেন্টিয়ার, গ্রিন পুলিশ বা স্টুডেন্ট পুলিশ কোনো স্থান পাবেনা। আরও বলা হয়েছে ভোটের তিনদিন আগে থেকে ভোটের একদিন পর পর্যন্ত কোনোভাবেই ভোটকেন্দ্রের আশেপাশে কোনো উর্দিধারী সিভিক ভলেন্টিয়ার বরদাস্ত করবেনা নির্বাচন কমিশন। আর এই মর্মে লালবাজার ও নবান্নে ইতিমধ্যেই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত? সূত্রের খবর, বিগত বছরগুলোতে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ হানেন বিরোধীরা। অনেকসময় সরাসরি ভোটকেন্দ্রে ক্ষমতার অপপ্রয়োগ, আবার অনেক সময় পরোক্ষভাবে জনগনকে প্ররোচিত করে নিয়ন্ত্রণেরও অভিযোগ আছে। শাসক দলের সাথে তাল মিলিয়ে তাদের সুবিধা করে দেন এরা, বিরোধীদের এই অভিযোগ উড়িয়ে না দিয়ে বরং বেশ কিছুটা গুরুত্ব দিয়ে এই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের না রাখার সিদ্ধান্ত নিল কমিশন। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিরোধীরা। যদিও কতটা শক্ত হাতে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে কমিশন, এখন সেটাই দেখার।