ওমিক্রন আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। উদ্বেগে ভারতও। ইতিমধ্যেই ভারতে মোট ওমিক্রন (Omicron) আক্রান্তের সংখ্যা পেরিয়ে গিয়েছে ২০০। দেশে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য মহারাষ্ট্র এবং দিল্লি। এরপরেই রয়েছে তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক, রাজস্থান, দিল্লি। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলিকে এখনই সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে কেন্দ্র। জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণে। কেন্দ্রের মন্তব্য, করোনার বাকি প্রজাতির তুলনায় ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট বেশি সংক্রামক। এমনকী অতি সংক্রামক ডেল্টা (Delta) ভ্যারিয়েন্টের থেকেও তিনগুণ বিপজ্জনক হতে পারে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট (Omicron Variant)। প্রয়োজনে ফের কড়াভাবে চালু করতে হবে নাইট কারফিউ (Night Curfew)। রাজ্যে রাজ্যে খুলতে হবে ওয়ার রুম, কড়া মন্তব্য কেন্দ্রের।
প্রসঙ্গত, ওমিক্রনের প্রভাব থেকে বাঁচতে রাজ্যগুলিকে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। এরই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Ministry of Health) তরফে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ, 'যে যে এলাকার পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের বেশি সেই এলাকাগুলিকে বিপদসীমা অতিক্রান্ত বলে ধরা হবে। এছাড়াও কেন্দ্রের পরামর্শ, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের প্রকোপও এখনও কাটেনি। তাই প্রতিরোধ করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে করোনা রোগীর সন্ধান করতে হবে। দ্রুত আক্রান্তদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠাতে হবে। সঙ্গে বাড়াতে হবে টিকাকরণের হার।
তবে এরই মধ্যে বছর শেষে উৎসবের মরশুম দেশ জুড়ে। ক্রিসমাসের আলোয় আলোকিত সমস্ত এলাকা। বাদ যায়নি কলকাতা। গতকাল থেকেই উপছে পড়া ভিড় কলকাতায়। ভিক্টোরিয়া থেকে অ্যালেন পার্ক, দর্শনার্থীদের ভিড়ে শহর কলকাতা। আগেই শিথিল করা হয়েছে নৈশ কার্ফু। তবে ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যে কেন কড়া হচ্ছে না সরকার? তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকরই। প্রসঙ্গত, গত বছরও পার্ক স্ট্রিটে লাগামছাড়া মাস্কহীন মানুষের ভিড় দেখা গিয়েছিল। এ বছর এখনও সেই দৃশ্য চোখে না এলেও, উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা সংক্রমণ।