গতকাল বৃহস্পতিবার বাম যুব ছাত্রদের নবান্ন অভিযানে যাওয়ার সময় কলকাতা পুলিশের সাথে খন্ডযুদ্ধ বেধে যায় ও তার প্রতিবাদে গতকালেই বামেরা ১২ ঘন্টার বাংলা বনধ ডাকে। আজ সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বনধের জন্য বিক্ষিপ্ত কিছু অশান্তির খবর সামনে আসছে। সকালের দিকে শহর কলকাতা মৌলালিতে আন্দোলন সমর্থনকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেছিল এবং তার জেরে প্রায় ১৫-২০ মিনিট যানচলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এছাড়াও সকালের দিকে যাদবপুরে রেল অবরোধের খবর সামনে এসেছিল। এছাড়াও অনেক জায়গায় গান্ধীগিরি দেখিয়ে আন্দোলন তুলতে এলে পুলিশকে চকলেট ও গোলাপ দিয়ে শান্তির বার্তা ছড়াতে চেয়েছে বামেরা।
আজকের বনধে গতকালের পুলিশের লাঠিচার্জ সম্বন্ধে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা বাম শীর্ষনেতা বিমান বসু বলেছে, "গতকালের ঘটনা কলঙ্কিত জালিয়ানওয়ালাবাগের কথা মনে করিয়ে দেয়। গতকাল যা ঘটেছিল তা একদম উচিত হয়নি। সরকার বা পুলিশের পক্ষ থেকে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছিল যেন তা একটি যুদ্ধক্ষেত্র। নির্মমভাবে কয়েকশো যুব ছাত্রের উপর হামলা করা হয়েছিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা করছি।" অন্যদিকে শুরু থেকেই সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এবং সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন, "জোর করে কোথাও বনধ পালন করা হবে না। সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই বনধকে সমর্থন করবে।"
তবে বামেরা শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালন করার চেষ্টা করলেও কিছু জায়গায় অশান্তির খবর পাওয়া গিয়েছে। আজকে এন্টালী থেকে কলেজ স্ট্রিট হকদি বামেদের মিছিল যাবার সময় সেখানকার দোকানের শাটার নামিয়ে দেয় তারা। এছাড়া শহর কলকাতা ছাড়া সকালের দিকে আসানসোলে বনধ সমর্থনকারীদের বাইক আরোহীকে মারধোর করার চিত্র সামনে এসেছিল। এছাড়াও মালদহে বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে এসেছে। বনধ সফল করতে শহরের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং রাস্তায় বেসরকারি বাসকে নাম দেওয়া হয়নি। মালদহের মানিকচকেব যাত্রীবাহী টোটোতে হামলা ও ভাঙচুর করার খবর শোনা যায়।