দেবীপক্ষের সূচনার সাথে সাথে পুজোর ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে। তবে প্রত্যেক বছর পুজোর মাঝে ভেসে আসে নানান অপরাধমুলক কার্যকলাপের সংবাদ। পকেটমারি থেকে শুরু করে ইভটিজিং কিংবা মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে দুর্ঘটনা ঘটানো, পুজোর আনন্দের মাঝেই শোনা যায় অপ্রীতিকর ঘটনাগুলির খবর। আর ঈবার সেই অপরাধ দমনেই উদ্যোগী হল হুগলি জেলার চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। তাঁদের তরফ থেকে জানানো হল, এবারের পুজোয় সিসি ক্যামেরায় চালানো হবে বিভিন্ন এলাকার উপর নজরদারি।
বুধবার চুঁচুড়া রবীন্দ্র ভবনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট। সেখানেই প্রকাশ করা হয় চুঁচুড়া, চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বরের পুজো গাইড মানচিত্র। কমিশনারেটের তরফ থেকে এদিন আলাদা করে মানচিত্র প্রকাশ করা হয় ডানকুনি, শ্রীরামপুর এবং উত্তরপাড়ার জন্যও।
পুজো গাইড মানচিত্র প্রকাশ করে চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, পুজোর অনেক আগে থেকেই তাঁরা নাকা তল্লাশি চালিয়ে সাফল্য পেয়েছেন। এবারে অপরাধীদের ছবি পেতে প্রযুক্তির সাহায্য নেবেন তাঁরা। জায়গায় জায়গায় থাকবে সিসি ক্যামেরা। ইভতিজিং আটকানোর জন্য থাকবে বিশেষ দল। সিসি ক্যামেরায় ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দেখে সংশ্লিষ্ট জায়গায় খবর দেওয়া হবে পুলিশবাহিনীকে। পাশাপাশি, পুরো পুজ জুড়ে নজরদারি চালানোর জন্য বাড়ানো হয়েছে সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমে কর্মীর সংখ্যা, এমনটাই জানিয়েছেন কমিশনার।
সূত্রের খবর, পুজোর সময় চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট এলাকার সাতটি থানার নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবেন এসিপি পদমর্যাদার ৮ জন ইনস্পেক্টর, ২২ জন সাব-ইনস্পেক্টর, ২০০ জন এএসআই এবং ৩৮০ জন কন্সটেবল। পুজোর দিনগুলির জন্য পুলিশের তরফ থেকে খোলা হয়েছে একটি হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারও। ৯০৭৩৩৯০০৪০ – এই নম্বরে ফোন করে বা মেসেজ করে পাঠানো যাবে ছবি। পাশাপাশি ল্যান্ডলাইন নাম্বার ০৩৩-২৬৮০-৪৭৩৯ – তেও ফোন করে জানানো যাবে অভিযোগ। উল্লেখ্য, এবছর চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের আওতায় মোট পুজার সংখ্যা ১,৪০০ টি। কোভিড বিধি মেনে কমিটিগুলিকে পুজো করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।