একুশে বাংলা বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিজেপি (BJP) প্রার্থী চন্দনা বাউরী (Chandana Bauri) তাঁর আর্থিক অবস্থার জন্য বেশ কয়েকবার খবরের শিরোনামে এসেছিলেন। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকলেও চন্দনা বাউরীকে ভোটযুদ্ধের ময়দানে অবতীর্ণ হতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। তবে গেরুয়া শিবিরের ভরসার যোগ্য উত্তর দিয়েছিলেন তিনি। শালতোড়া বিধানসভা কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনে জিতে গিয়ে বিজেপি বিধায়ক হয়েছেন তিনি। তবে সম্প্রতি এক নতুন বিতর্কের জন্য রাজ্য রাজনীতির লাইমলাইটে এসেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, বিধায়ক হওয়ার চার মাসের মধ্যেই স্বামী এবং ছোট্ট সন্তানকে ছেড়ে দিয়ে গাড়ির ড্রাইভারের সাথে বিয়ে করে নিয়েছেন তিনি। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গেছে এলাকাজুড়ে। এমনকি বিধায়কের এমন আচরণে ব্যাপক ক্ষুব্দ দলীয় কর্মীরাও।
বিধানসভা নির্বাচন জিতে যাওয়ার পর চন্দনা বাউরি তার স্বামী এবং সন্তানকে নিয়ে সুখের সংসার তৈরি করার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র চার মাসের মধ্যে তাঁর গাড়ি চালকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি বলে জানা যাচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধায়ক হওয়ার পর চন্দনা বাউরি ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছিলেন তাঁর জীবনযাত্রা। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজের গাড়ির চালক কৃষ্ণ কুন্ডুর সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন তিনি। এমনকি গত বুধবার রাতে স্বামী ও সন্তানের কথা না ভেবেই লুকিয়ে বিবাহিত প্রেমিক কৃষ্ণকে বিয়ে করেন চন্দনা। তারপর একসাথেই ছিলেন তাঁরা।
স্ত্রীয়ের বিয়ে হওয়ার কথা জানতে পেরে চন্দনা বাউরির স্বামী গঙ্গাজলঘাটি থানায় অভিযোগ জানায়। পুলিশ কৃষ্ণ এবং চন্দনাকে থানায় ডেকে পাঠায় ও অন্যদিকে কৃষ্ণের প্রথম স্ত্রী থানায় এসে অভিযোগ জানায়। শেষপর্যন্ত পুলিশ চন্দনাকে তার প্রথম স্বামীর সাথে বাড়িতে পাঠায়। তবে বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরী দাবি করেছেন, "তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা করা হচ্ছে।স্বামীর সঙ্গে সামান্য ঝামেলা হয়েছিল তাঁর। সেই ক্ষোভেই পুলিশের দ্বারস্থ হন তাঁর স্বামী।" যদিওবা বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার দ্বিতীয় বিবাহের ঘটনাটি সত্য বলে জানিয়েছন।