হ্যাঁ, ভোটকেন্দ্রে অসন্তোষ-সংঘাত ঠেকাতে এবার গুলিও চালাতে পারবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। নির্বাচন কমিশনের এই নিদানকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই উত্তেজনা তুঙ্গে। কিন্তু কেন এই ছাড়পত্র দিল নির্বাচন কমিশন? জানা গেছে প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের দিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে এসে গুরুতর জখম হওয়ার ঘটনায় বেজায় ক্ষুব্ধ তারা এবং এই ঘটনাকে একেবারেই লঘু করে দেখছেনা কমিশন। ভবিষ্যতে এ জাতীয় সম্ভাবনা পুরোপুরি নির্মূল করতেই এই বিপুল ক্ষমতা তুলে দেওয়া হল জওয়ানদের হাতে।
প্রথম দফায় ভোটগ্রহণের দিন পূর্ব মেদিনীপুরে পটাশপুর থানার আড়গোয়াল অঞ্চলের সাতশতমাল এলাকায় বিজেপি-তৃণমূলের সংঘর্ষ ঠেকাতে গিয়ে বোমার আঘাতে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর এক জওয়ান। তিনি বতর্মানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। ওই জওয়ানের শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে অবহিত হতে হাসপাতালে যান বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দ্যুবে। বেআইনি অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করছে দেখেও ওই জওয়ান আইন অমান্য করে তাদের পাল্টা আক্রমণ করতে পারেননি। এই ঘটনা দেখেই নতুন নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন যাতে জওয়ানদের আক্রমণ করা হলে বা ভোটগ্রহণে কোনো প্রকার অশান্তি সৃষ্টি করলে এসওপি(স্ট্যানডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর) অনুসারে ব্যবস্থা নেবে। আক্রমণ বা অশান্তির মাত্রা বুঝে গুলি পর্যন্ত চালাতে পারবে জওয়ানরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নির্বাচনে এই ঘটনা নতুন না হলেও একেবারে বিরল। এর আগে ২০০৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে কেঁদুয়া স্কুলের বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় এক সিপিএম কর্মীর।