দিলীপ ঘোষ মানেই বিতর্ক। তা গোরুর দুধে সোনা নিয়ে করা মন্তব্য হোক কিংবা মমতা বন্দোপাধ্যায়ের 'ঠ্যাংয়ের উপর কাপড় তোলা'র প্রসঙ্গ হোক না কেন। প্রাক্তন বিজেপির রাজ্য সভাপতি যতবারই মুখ খুলেছেন, ততবারই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কাটা কাটা কথার জন্য নিজের দলীয় সমর্থকদের কাছ থেকে বেশ প্রশংসাও পেয়ে থাকেন এই ব্যক্তিত্ব। তবে সাম্প্রতিককালে সংবাদমাধ্যমের সামনে কিছু চাঁচাছোলা মন্তব্য করে দলীয় নেতৃত্বদের কাছেই এবার চক্ষুশূল হলেন দিলীপ ঘোষ। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চিঠি পাঠিয়ে দিলীপ ঘোষকে সংযত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। আপাতত কয়েকদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে চুপ থাকার নিদান ঝুলছে দিলীপের ঘাড়ে।
চিঠিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অরুন লিখেছেন, "আগে অনেকবার আপনাকে সতর্ক করা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি। আপনার মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। আপাতত সংবাদমাধ্যমের সামনে আপনি মুখ খুলতে পারবেন না।" সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার নির্দেশ মেনে তিনি আরও লিখেছেন, "আপনার বেশ কিছু বিবৃতি এবং ক্ষোভ প্রকাশ করে করা মন্তব্যে রাজ্য নেতৃত্ব ক্ষুব্ধ হয়েছেন। একই সঙ্গে বিড়ম্বনায় পড়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বও।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত শনিবার জনৈক সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে মুখোমুখি সাক্ষাৎকারে বসে একের পর এক বিতর্কিত গুগলি বাউন্সার ফেলতে থাকেন দিলীপবাবু। সাক্ষাৎকারে বিধানসভা ভোটের প্রসঙ্গ উঠে আসলে তিনি নাম ধরে ধরে নিজের দলীয় কর্মীদেরই দোষারোপ করতে থাকেন। নিজের ঘাড় থেকে সমস্ত বোঝা ফেলে খুঁত ধরেন সাম্প্রতিক দলবদলু নেতাদের। বাবুল সুপ্রিয়র তুলোধুনা করার পাশাপাশি শিল্পীদের রগড়ে দেওয়ার কথা ফের উঠে আসে তার মন্তব্যে। পাশাপাশি, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিজ্ঞতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। ফলত বোঝাই যাচ্ছে, নিজের পিঠ বাঁচাতে নিজের দলের একের পর এক নেতাদের ঘায়েল করার ফলে যারপরনাই ক্ষুন্ন রাজ্য নেতৃত্ব। আপাতত কেন্দ্রের নির্দেশে কিছুদিন মুখে কুলুপ এঁটে থাকবে দিলীপ ঘোষের, সেটাই আপাতত আশা করা যায়!