বাড়ির সামনে রোজ নোংরা ফেলার অভিযোগ। ঘরের ব্যবহার্য নোংরার পাশাপাশি মলমূত্রও ফেলা হত। বহুবার বলার পরেও কোন কথাই কানে দেওয়া হয়নি। শেষমেশ প্রতিবাদ করতে গিয়ে পরিণামে যে এই পরিণতি হবে কেই-বা জানত! প্রতিবাদের ফলস্বরূপ হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। এমন নৃশংস ঘটনায় শিউরে উঠেছেন গ্রামবাসীরা।
ঘটনাটি মালদার (Malda) কাশিমপাড়া এলাকার। প্রতিবেশী দেওর এবং আত্মীয়দের বিরুদ্ধে হাতের আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঠিক কী ঘটেছিল? সূত্র মারফত খবর, কাশিমপাড়া এলাকার বছর পঁয়তাল্লিশের আলাহার বিবির বাম হাতের কনিষ্ঠা এবং অনামিকা কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বর্তমানে গুরুতর আহত এই মহিলা মালদা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পাশের বাড়ির প্রতিবেশীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই বচসা চলছে। জমি জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ চলছে। আর সেই মোতাবেক শত্রুতা জিইয়ে রাখার জন্য এবং অহেতুক বিবাদের উদ্দেশ্যে ঘরের সামনে রোজ নোংরা আবর্জনা ফেলে রাখা হত বলে অভিযোগ। সেই সঙ্গে মলমূত্র ফেলে রেখে দুর্গন্ধে টেকা দায়। বারবার বলার পরেও মেলেনি সুরাহা। বাধ্য হয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই পরিণতি বলে খবর।
সূত্র মারফত আরও খবর, ঘটনার দিন দু'পক্ষের মধ্যে তীব্র বচসা হয়। আলাহার বিবিকে প্রথমে রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। তাঁর স্বামী বাঁচাতে এলে তাঁকেও মারধর করা হয়। আর আচমকাই আলাহার বিবির বাম হাতের দুই আঙুল কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোতে থাকে। আলাহার বিবি রাস্তায় পড়ে ছটকাতে থাকেন। স্থানীয় লোকজন দৌড়ে এসে উদ্ধার করেন। তারপর মালদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনায় এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছেন। আর ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা চম্পট দিয়েছে।