অজ্ঞান না করেই রোগিণীর অস্ত্রোপচার হল। রোগিণীর সঙ্গে খোলামেলা বার্তালাপও করলেন চিকিৎসকরা। এমনকী রোগিণীকে শোনানো হল গানও। এমনকী ঘন্টা দেড়েকের এক স্তন ক্যানসারের অপারেশনে রোগিণী বুঝতেই পারলেন না কাটা-ছেঁড়ার যন্ত্রণা। এমনই এক বিরল অস্ত্রোপচারের ঘটনা হল রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে (Rampurhat Medical College)। দক্ষিণ ভারতে এই ধরণের অস্ত্রোপচারের নজির থাকলেও বাংলাতে এই প্রথম। এমনকী খোদ কলকাতাতেও এমন অস্ত্রোপচারের নজির নেই।
সূত্রের খবর, বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা বছর চল্লিশের এক মহিলা টিউমারের চিকিৎসা করাতে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে আসেন। পরীক্ষার পর জানা যায় তাঁর স্তন ক্যানসার হয়েছে। প্রথমে কেমোথেরাপি দিয়ে টিউমারটি ছোট করা হয়। তারপর এমন বিরল অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগিণীকে অজ্ঞান না করেই কথা বলতে বলতে এমন ঘন্টা দেড়েকের সফল অস্ত্রোপচারের কাজ শেষ হয়।
কীভাবে এমন বিরল অথচ সফল অস্ত্রোপচারের ঘটনা সম্ভব হল? হাসপাতাল সূত্রে খবর, অস্ত্রোপচারের সময় রোগিণীর মেরুদন্ডের উপরের অংশে সূচ ফুটিয়ে শরীরের উপরের অংশ অবশ করা হয়। তারপর রোগিণীর সচেতন থাকা অবস্থায় চিকিৎসকরা কথা বলতে বলতে অস্ত্রোপচারের কাজ সারেন। এমনকী রোগিণীকে গানও শোনানো হয়। এমন অস্ত্রোপচারের সুবিধা কী? জানা গেছে, এমন অপারেশনে রোগীকে অজ্ঞান করার দরকার পড়ে না। অস্ত্রোপচারের পর রোগী হাঁটাচলা করতে পারেন। এতে সময় ও খরচ উভয়ই সাশ্রয় হয়। তাছাড়া অপারেশনের পর রোগীকে কম কষ্টভোগ করতে হয়। এমন বিরল অথচ সফল অস্ত্রোপচারে চিকিৎসক মহলে খুশির হাওয়া। আগামীতে এই অস্ত্রোপচার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল।