বগটুই কান্ডে (Bogtui Incident) তদন্তভার পেয়েই সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছেন বগটুই গ্রামে। শুরু হয়েছে তদন্তের নমুনা সংগ্রহের কাজ। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি ঘুরে ঘুরে তাঁরা নমুনা সংগ্রহ করবেন। পাশাপাশি সঙ্গে আছে কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক দলের একটি স্পেশাল টিম। স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে তদন্তের কাজ।
সূত্রের খবর, গোটা টিমকে তিনটি দলে ভাগ করা হয়েছে। একটি দল পৌঁছে গেছেন বগটুই গ্রামে, যেখানে মূল ঘটনাটি ঘটেছিল। আর একটি দল সাঁইথিয়ার গোলাপজল গ্রামে। আর শেষ দলটি হাসপাতালে যাবেন। যেখানে আহতরা চিকিৎসাধীন। ঘটনার অন্যতম সাক্ষীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সেই দল। প্রথমে রামপুরহাট থানায় গিয়ে পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলেছেন সিবিআইয়ের একটি স্পেশাল টিম। মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি নিজেদের হাতে নিয়েছে সিবিআই।
শুক্রবার গিয়েছিল সিবিআইয়ের একটি ফরেন্সিক দল। ইতিমধ্যেই ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০২, ৩০৭, ৩২৬, ১২০ (বি), ১৪৮, ১৪৯, ৪২৭, ৪৩৫ ও ৪৩৬ ধারা অনুসারে মামলা রুজু হয়েছে। এলাকায় মোতায়েন রয়েছে প্রচুর পুলিশ বাহিনী। তারপরও গোটা এলাকায় আতঙ্কের শেষ নেই। সন্ধ্যা হলেই নামে শ্মশানের নীরবতা। গোটা এলাকায় টানটান উত্তেজনা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রামপুরহাটের (Rampurhat) এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখের মৃত্যু হয়। আর তারপর থেকেই গোটা এলাকা উত্তপ্ত হতে থাকে। তারপরেই রাতের অন্ধকারে বগটুই (Bogtui) গ্রামের ১০ টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় শিশু, মহিলা-সহ অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে। বিরোধীদের অভিযোগ মৃতের সংখ্যা আরও বেশি। ঘটনার পর ধীরে ধীরে উত্তেজনা বাড়তেই থাকে। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে মামলা দায়ের করে। রাজ্যের তরফে গঠিত হয় সিট। আর তার প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। নির্দেশের পরেই অতি সক্রিয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।