বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার নতুন প্ল্যান নিয়ে হাজির বাংলার শাসকদলের প্রধান বিরোধী বিজেপি। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই ৮৮পাতার নির্বাচনী ইস্তেহারে একাধিক বাংলা ও বাঙালির আবেগকেন্দ্রিক পদক্ষেপ নেওয়ার আগাম আভাস দিয়েছে বিজেপি। তৃণমূল থেকে বামেরা, একযোগে বিজেপিকে 'বাংলা ও বাঙালি বিরোধী', 'বহিরাগত' ইত্যাদি নানা তকমায় বিঁধেছে বারবার। আরও তাৎপর্যপূর্ণভাবে, যখন বাংলা ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেবার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার সেই দাবি অগ্রাহ্য করে বিজেপি। বিরোধীদের থামাতে এবার সেই পথেই হেঁটেছে কেন্দ্র, আর ইস্তেহারে এই চমকটাই তাদের মূল নির্বাচনী হাতিয়ার।
এই ইস্তেহার তৈরির জন্য শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রিসার্চ ফাউন্ডেশনের অধিকর্তা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়, রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত এবং আরও অনেক বিদ্বজ্জনের সাথে কয়েকমাস আলোচনা করেছে গেরুয়া শিবির। সিএএ চালুর সাথে সাথেই শিল্প-শিক্ষা-কৃষি সবেতেই সংস্কারমূলক কর্মসূচি নেওয়া হবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দলীয় সূত্রের খবর, নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখ আছে, শিল্পের জন্য কৃষিজমি অধিগ্রহণ রুখে দিয়ে পতিত জমি বা পরিত্যক্ত এলাকায় কারখানা গড়বে বিজেপি। অন্যথায় মালিককে শাস্তিস্বরূপ ক্ষতিপূরণ দিতে বাধ্য করাবে তারা। শিল্পপতিতের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু যাতে হয় বাংলা, তাও দেখবে বিজেপি। উত্তরবঙ্গে ২টি ও দক্ষিণবঙ্গে ৪টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়া হবে। এছাড়াও শিক্ষাক্ষেত্রে পরিবর্তন যেমন সংস্কৃত বিষয়টি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে পড়তে হবে। এছাড়াও ইতিহাস সংশোধন করে প্রকৃত জাতীয়তাবাদীদের মধ্যে ঋষি অরবিন্দ ও শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়রা বিশেষ স্থান পাবে।