বিজেপির বিধায়ক হবার স্বপ্ন নিয়ে বহু প্রাক্তন তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ঠিক নির্বাচনের আগে। কিন্তু এবারের ভোটে হেরে গিয়েছেন, আর বিজেপির এরকম স্বপ্ন ভঙ্গ হতে না হতেই বিজেপি হেস্টিংস দপ্তর একেবারে ফাঁকা। একটা সময় বিজেপি দাবি করছিল ২০০ আসন লাভ করবে। কিন্তু সেই সম্ভাবনা একেবারে তলানিতে মিশিয়ে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়লাভ করেছেন নির্বাচনে। তাই বিজেপির সদর দপ্তরের রাজ্য নেতাদের ডাকা বৈঠকে অনুপস্থিত বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী তৃণমূল নেতা, যারা মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলেন না।
শুক্রবার বিজেপি হেস্টিংস অফিসে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল বিভিন্ন জেলার পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ল এবং শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary)। তার সঙ্গে ডাকা হয়েছিল দলের প্রথম সারির অধিকাংশ নেতাদের। কিন্তু তারা প্রায় কেউই উপস্থিত ছিলেন না। উল্টোদিকে দলের পাঁচজন সাধারণ সম্পাদক এর মধ্যে মাত্র রয়েছেন দুইজন। এনারা হলেন সায়ন্তন বসু এবং সঞ্জয় সিং। গেরুয়া শিবিরের হেভিওয়েট নেতা নেত্রী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো, লকেট চট্টোপাধ্যায় সহ অনেকেই অনুপস্থিত ছিলেন। রাজ্য কমিটির সদস্যদের বাছাই করা কিছু পরিচিত মুখকে শুক্রবার বৈঠকে ডাকা হয়েছিল। এই তালিকায় ছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত এবং ভারতী ঘোষ। তারা নিজেদের কেন্দ্রে শোচনীয়ভাবে হেরেছেন। তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটা বেশি ভোটে জয়লাভ করেছে। তাদের অনুপস্থিতির কারন জিজ্ঞেস করা হলে ড্যামেজ কন্ট্রোলে' অবতীর্ণ হন দিলীপ ঘোষ। তার সাফাই, যারা দূরে থাকেন তারা করোনা পরিস্থিতির জন্য আসতে পারেননি।