এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে অতিরিক্ত দলবদল। এবারের নির্বাচনে নতুন তৃণমূল থেকে চলে আসা নেতাদের বেশি প্রাধান্য দিতে গিয়ে পুরনো নেতারা বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়ছেন। যারা এতদিন ধরে পার্টিটা তৈরি করেছেন তাদেরকে গুরুত্ব না দেওয়ার জন্য তারাই অনেক সময় ক্ষেপে গিয়েছেন। কিন্তু হারের পর বোধোদয় হলো ভারতীয় জনতা পার্টির। তারা বুঝতে পারল পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বৃহস্পতিবার শিব প্রকাশ, অরবিন্দ মেনন এবং অমিত মালব্যর কাছে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্য কমিটির নেতারা। হেস্টিংসের বৈঠকেও একই কথা বলেন সকলে। সকল নেতারা জানান, তৃণমূল থেকে আগত নেতাদের অত্যধিক বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণে ব্রাত্য হয়ে গেছেন পুরনোরা। এই কারণে ভোটে ভরাডুবি তো হয়েছেই তার সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতাও কমেছে জনগণের কাছে।
তাই এবারে ড্যামেজ কন্ট্রোল। বিজেপির সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এখন আর অন্যদল ভাঙ্গানো ঠিক না ভুল সেই করার সময় নেই। বরং তার থেকে ভালো অবিলম্বে পুরনো কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা। তাদের মান ভাঙ্গিয়ে আবারো দলের সঙ্গে যুক্ত করাটা এখন বেশি দরকার বলে মনে করছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাশাপাশি ভোট-পরবর্তী হিংসার অভিযোগ তুলে এনে রাজ্য নেতারা এবং জেলার নেতারা একদিকে বিজেপির উচ্চপদস্থ কমিটির সুবিধা করছেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। তার সাথেই, কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশ, সমস্ত কিছু সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আর্তদের পাশে দাঁড়াতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, নির্বাচনে ভরাডুবির পরে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।