ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার দিনেই তৃণমূল কংগ্রেস বাকি ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা করেছিল। সিপিএমের তরফেও প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়। কিন্তু বিজেপির তরফে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের নাম ঘোষিত হলেও প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয়নি। অবশেষে রাজ্যের ৪ কেন্দ্রের উপনির্বাচনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করল বিজেপি (BJP)। তালিকায় কোন তারকা চমক নেই, নেই হেভিওয়েট কোন নেতৃত্ব। তালিকায় আছেন দীর্ঘদিন দলের সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং স্থানীয় নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, বাকি ৪ কেন্দ্রের নির্বাচন আগামী ৩০ অক্টোবর, ফলপ্রকাশ ৩ নভেম্বর।
বিজেপির সম্ভাবনাময় কেন্দ্র শান্তিপুরের প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস। পেশায় স্কুলশিক্ষক নিরঞ্জন বিশ্বাস এই শান্তিপুর বিধানসভার বাসিন্দা। সেদিক থেকে বিজেপির তুরুপের তাস স্থানীয় প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাসের এলাকায় শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট পরিচিতি, বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। অন্যদিকে কোচবিহারের দিনহাটায় প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা অশোক মণ্ডলকে। সূত্রে খবর, অশোক মণ্ডল দীর্ঘদিন রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী উদয়ন গুহকে ২০১১ সালে পালাবদলের সময় হারিয়েছিলেন অশোক মণ্ডল। সেদিক থেকে বিজেপি প্রার্থী অশোক মণ্ডলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন ওয়াকিবহাল মহল।
এদিকে দক্ষিণবঙ্গের গোসাবায় বিজেপির প্রার্থী করা হয়েছে পলাশ রাণাকে। বয়সে তরুণ প্রার্থী পূর্বে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেইসঙ্গে সুন্দরবনের প্রতিটি কোণা তাঁর হাতের তালুতে বলছেন বিজেপির একাংশ। সে হিসেবে গোসাবা বিধানসভা কেন্দ্রে গেরুয়া শিবির আগের নির্বাচনে অনেকটা পিছিয়ে থাকলেও এই উপনির্বাচনে যথেষ্ট টক্কর হতে পারে বলছেন ওয়াকিবহাল মহল। একইভাবে খড়দহ কেন্দ্রেও তরুণ প্রার্থীর উপর ভরসা রেখেছে বিজেপি। খড়দহ কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হয়েছে জয় সাহাকে। সূত্রের খবর, জয় সাহা বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহের ঘনিষ্ঠ।