স্কুলবেলার পরিচয়। সেখান থেকে বন্ধুত্ব, ধীরে ধীরে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা। রাস্তাঘাটে, অলিগলিতে উভয়ের কথোপকথন সাধারণ মানুষের চোখ এড়ায়নি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হয়তো সম্পর্কে চিড়, আর তার পরিণতি এতটা ভয়াবহ হতে পারে কে তা জানত! বহরমপুর গার্লস কলেজের তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী সুতপা চৌধুরী খুনের ঘটনায় উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। স্থানীয় একাংশের দাবি, উভয়ের পরিচয়, প্রেম দু-একদিনের নয়। দীর্ঘদিন তাঁদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যেই ছিল।
অন্যদিকে সুতপার বাবা স্বাধীন চৌধুরীর দাবি, তিনি সুশান্তকে চিনতেন। সুশান্ত নাকি সুতপাকে ভয় দেখাত, রাস্তায় ফলো করত, ফোনে হুমকি দিত। অন্যদিকে, পুলিশি ঘেরাটোপে, হাতে হাতকড়া, মুখে কালো কাপড়, সুশান্তের দৃপ্ত ঘোষণা, "ফেসবুক লাইভে এসে বলব, কেন খুন করেছি!"
নিজের প্রেমিকাকে খুনের পর সুশান্তের কথায় নেই কোন অনুশোচনাবোধ, বলছেন প্রত্যক্ষদর্শীদের একাংশ। কিংবা খুনের সময় বন্দুক উঁচিয়ে মানুষকে হুঁশিয়ারি, কেউ বাঁচাতে আসবে না। আর পুলিশি জেরায় ভয় নয়, বরং হাসতে হাসতে একের পর এক চাঞ্চল্যকর দাবি। তাঁর সঙ্গে নাকি সুতপার বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু সুতপার পরিবার তাঁকে অপমান করত।
অন্যদিকে, সুতপার ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সুশান্তের হাত থেকে বাঁচাতে সুতপাকে দূরে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছিলেন বাবা। তাঁদের মেয়েকে নাকি হুমকি দিতেন এই সুশান্ত। পুলিশ সুশান্তের বাড়ি থেকে মানসিক অবসাদের ওষুধ খুঁজে পেয়েছে। মনোবিদদের ধারণা, খুনের পদ্ধতি দেখে স্পষ্ট তীব্র প্রতিশোধস্পৃহা থেকেই এই ঘটনা। খুনের ২ দিন কেটে যাওয়ার পরেও উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য।