বঙ্গ রাজনীতিতে রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankar) এক সপ্তাহের জন্য উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছিলেন। সেখানে উপস্থিত থেকে তিনি উত্তরবঙ্গের একাধিক নেতৃত্বদের সাথে রাজভবনে বৈঠক করেন। তারপর আজ অর্থাৎ সোমবার বাগডোগরা এয়ারপোর্টে কলকাতায় ফেরার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, "দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে (২০১৭ থেকে) গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (GTA) অডিট হয়নি। তাই স্বচ্ছতা বজায় রাখতে খুব শীঘ্রই কেন্দ্রীয় সংস্থা ক্যাগ (CAG) দিয়ে অডিট করানো হবে। পাহাড়বাসীর উন্নয়নের উদ্দেশ্যে যে জিটিএ গড়ে তোলা হয়েছিল তা কাজ করেনি। বছরের পর বছর পাহাড়বাসীর তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।" প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বিমল গুরুংয়ের আবেদন মেনে পাহাড়বাসীর উন্নয়নের জন্য এই জিটিএ তৈরির অনুমোদন দেন। কিন্তু প্রথম থেকেই নানা জটিলতার কারণে ওই স্ব-শাসিত সংস্থায় নির্বাচন হয়নি। বর্তমানে বিভিন্ন সময় মোর্চা নেতা অনীত থাপা এই সংস্থার চেয়ারম্যান হয়েছেন।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের ক্যাগ দিয়ে অডিট করার সিদ্ধান্ত সমর্থন করে বক্তব্য রেখেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আজ শিলিগুড়ি কার্যালয় বৈঠকে বলেন, "রাজ্যপালের দাবি যুক্তিপূর্ণ। অবশ্যই জিটিএ-র অডিট হওয়া প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিবছর উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠায়। কিন্তু সেই টাকা রাজ্য সরকারের কর্মী ও আধিকারিকরা নয়ছয় করে দেয়। এর ফলে টাকা আসলেও পাহাড়বাসীর কোন উন্নয়ন হচ্ছে না।" তবে এখানে প্রশ্ন উঠেছে রাজ্যপালের কি জিটিএ অডিট করানোর এক্তিয়ার রয়েছে? এই প্রসঙ্গে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারের কাছে অডিট এর জন্য আবেদন করতে পারেন। এর থেকে বেশি কিছু করলে তা সংবিধান বিরোধী।
অন্যদিকে দুর্নীতির অভিযোগ নস্যাৎ করে জিটিএ প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা মোর্চা নেতা অনীত থাপা বলেছেন, "প্রতি বছর অডিট হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়নের কাজ করেছি আমরা। উনি অডিট করাতে চাইলে করান। আমাদের কোন অসুবিধা নেই। সব হিসাব পেয়ে যাবেন।"