মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতোন ভোটের আগেই সকলের হাতে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড এসে পৌঁছালেও, তা নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। কখনও স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড নিয়ে ব্যবসা, কখনও হাসপাতালগুলি কার্ড গ্রহণ করতে চাইছেন না। এনিয়ে বহু অভিযোগ জমা পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর দরবারে। তবে এবার স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গে আরও কড়া হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড থাকা রোগীরা যাতে সরকারি হাসপাতালের সঙ্গেই বেসরকারি হাসপাতালেও যেন ঠিকমতো সুবিধা পান, সেজন্য অ্যাডভাইসারি পাঠাল স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ স্বাস্থ্যসাথী সমিতি। এদিন স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট বক্তব্য, "কোনও রোগীর স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থাকলে তাঁকে ফেরানো যাবে না।"
এখানেই শেষ নয়, কোনও রোগীর পরিবার যদি স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড আনতে ভুলেও যান, তবুও তাঁকে কার্ডের নম্বর ধরে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে। এছাড়াও যদি কোনো কারণে কার্ড না থাকলেও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেই সক্রিয় হয়ে সেই রোগীকে কার্ড করানোর কথাও বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অভিযোগ, এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের আওতায় ১,৯০০ টির বেশি স্পেসিফায়েড প্যাকেজ রয়েছে। কিন্তু বেসরকারি হাসপাতালগুলি ইচ্ছাকৃত এই প্যাকেজগুলির বদলে ব্যয়বহুল অন্য প্যাকেজের নামে বেশি টাকা বিল করে। তবে এবার থেকে এমনটা আর হবে না। প্যাকেজ-বহির্ভূত খরচই বেঁধে দেওয়ার চেষ্টা করছে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডের আওতাধীন কমিটি।