বেশ কিছুদিন ধরেই বিজেপি (BJP) অন্দরে দলীয় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব খবরের শিরোনামে আসছে। একুশে বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) বিজেপির লজ্জাজনক হারের পর দলীয় নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি শুরু করে দিয়েছেন। দলের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়াতে বেসুরো মন্তব্য করে বসেছেন বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ (Soumitra Khan), আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) ও বিজেপি মহিলা মোর্চা সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Amrita Bandopadhyay)। সৌমিত্র খাঁ সোশ্যাল মিডিয়াতে লাইভে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে গলায় সুর তুলে যুব বিজেপি মোর্চার সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন। তাঁর মতই বাবুল সুপ্রিয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীপদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার সময় সোশ্যাল মিডিয়াতে দলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেছিলেন, "আমাকে ইস্তফা দিতে বলা হয়েছিল।" তারপর তিনি কথার ব্যাখ্যা অন্য করলেও এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়। গত বৃহস্পতিবার বিজেপি মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অমৃতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুক লাইভে এসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি কটাক্ষ করে বলেছিলেন, "দলের ভরাডুবির জন্য দায়ী ওদের মত দালাল নেতা।"
বিজেপির এই তথৈবচ পরিস্থিতিতে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) দিল্লিতে জরুরি ভিত্তিতে তলব করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে আগামীকাল অর্থাৎ রবিবার সকাল ১১ টায় দুজন বৈঠক করবেন। সেইজন্য আজ অর্থাৎ শনিবার রাতেই দিল্লিতে পৌঁছে যাবেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে পৌঁছে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে দিল্লিতে জরুরী ভিত্তিতে ডাকা হয়েছে "বেসুরো" নেতাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে। কারণ ফেসবুকের মত সামাজিক মাধ্যমে দলীয় নেতাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিজেপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। পুরো বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে হয়তো বেসুরো ডানা ছাঁটতে সাংগঠনিক রদবদলের পথে হাঁটতে পারে কেন্দ্রীয় গেরুয়া দল।