করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার কালীপুজোয় বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে হাইকোর্ট৷ প্রশাসনের নির্দেশে বাজি বিক্রি বন্ধে পুলিশি তৎপরতাও রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও গোপনে চলছে কেনাবেচা৷ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় বাজি বাজারগুলির এ’বছর এমনই ছবি৷ যদিও অন্যান্য বছরের তুলনায় বাজি–ব্যবসার পরিমাণ নিতান্তই কম৷
দক্ষিণ ২৪ পরগণার চম্পাহাটি বাজি তৈরির জন্য বিখ্যাত৷ এখানে ঘরে ঘরে রয়েছে ছোট বাজি কারখানা৷ অন্যান্য বছর এই সময় বাজি কেনাবেচার জন্য ব্যাপক ভিড় হয় এলাকায়৷ বসে প্রচুর অস্থায়ী দোকান৷ এবার ছবিটা অন্যরকম৷ আপাতদৃষ্টিতে বাজির দোকানগুলি সব বন্ধ৷ কিন্তু একটু খোঁজ করলেই ভিতরে নিয়ে গিয়ে খরিদ্দারের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে বাজি৷ শুধু আতসবাজি নয়, শব্দবাজিও পাওয়া যাচ্ছে৷
উত্তর ২৪ পরগণার অশোকনগর, হাবড়া ইত্যাদি এলাকাতে বাজির দোকানগুলি বন্ধ থাকলেও গোপনে কিছুটা বিক্রিবাটা চলছে৷
দুই জেলাতেই রয়েছে পুলিশি তৎপরতা৷ দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙড়ে গত শনিবার পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে বিপুল পরিমাণ বাজি৷ উত্তর ২৪ পরগণায় শব্দবাজির কয়েকজন বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷