অতিমারির জেরে গত বছর থেকেই বন্ধ ছিল স্কুলের হোস্টেল। কিন্তু তা সত্ত্বেও ছাত্রীদের থেকে হোস্টেল ফি চাওয়ার অভিযোগ উঠল স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কার্যত সরগরম বাঁকুড়ার সারেঙ্গা গার্লস হাইস্কুল। অভিযোগ, উচ্চমাধ্যমিকে পাস করার পর গতকাল যখন ১৬ জন আদিবাসী ছাত্রী উক্ত স্কুলে লিভিং সার্টিফিকেট চাইতে যায়, তখন সেখানে তাদের থেকে ফি চায় স্কুল কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত বছর মার্চ মাস থেকেই রাজ্যের বাকি সব স্কুলগুলির মতো বন্ধ হয়ে গেছিলো বাঁকুড়ার সারেঙ্গা গার্লস হাইস্কুল। করোনার ধাক্কা কিছুটা কমলে এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আবার কোভিড বিধি মেনে স্কুল খোলার নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকার। সেই বিষয়েই ছাত্রীদের জিজ্ঞাস্য, হোস্টেল বন্ধ থাকা সত্ত্বেও তাদের থেকে কর্তৃপক্ষ ফি চাইছে কেন? যদিও স্কুল সুত্রে দাবী, আবাসিক আদিবাসী পড়ুয়াদের স্কুল হোস্টেল ফি বাবদ বার্ষিক ৮হাজার টাকা দেয় আদিবাসী ও অনগ্রসর শ্রেণী কল্যান দফতর। সেই টাকা সরাসরি পড়ুয়াদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ে। সেই টাকাই বছর শেষে স্কুল কর্তৃপক্ষকে দেয় পড়ুয়ারা।
এ বিষয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রঞ্জনা বাগালের বক্তব্য, স্কুল ও হোস্টেল বন্ধ থাকার দরুন কোনও ছাত্রীই গতবছর এপ্রিল থেকে হোস্টেলে থাকেনি। কিন্তু সরকারের তরফ থেকে তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে হোস্টেল ফি। আর স্কুল কর্তৃপক্ষ সেই টাকাই চাইছে তাদের কাছ থেকে। যদিও এই বিষয়ে ছাত্রীদের পাশে দাঁড়িয়েছে এক আদিবাসী সংগঠন। এ বিষয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শকের দাবী, কেবলমাত্র গতবছরের যে সময়টুকু স্কুল খোলা ছিল, শুধু সেই দিনেরই ফি চাওয়া হয়েছে তাদের থেকে। তিনি আরও বলেন, বুধবার ঐ ছাত্রীদের স্কুল লিভিং সার্টিফিকেটও দিয়ে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।