নিন্দুকেরা বলেন, সে রামও নেই, সেই রাজত্বও নেই। কিন্তু একথা বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মন্ডলের ক্ষেত্রে বোধহয় প্রযোজ্য নয়। তিনি নেই তো কী হয়েছে? তাঁর অবর্তমানে নিচুপট্টি এলাকার নীলবাড়িতে আজ মহা সমারোহে যজ্ঞ পালনের কথা, এমনটাই জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ।
অনুব্রত মন্ডল বরাবরই ঈশ্বরবিশ্বাসী। নিজে যজ্ঞ করেন। বাড়িতে পুজো লেগেই থাকে। প্রতি বছর বিভিন্ন মন্দিরেও তাঁকে দেখা গেছে। বর্তমানে তিনি সিবিআই হেফাজতে। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ গরুপাচারের সঙ্গে জড়িত। তারপর বীরভূম জুড়েই শূন্যতা। যেন শ্মশানের নিস্তব্ধতা। তবে গ্রেফতারের কয়েক দিন কাটতেই ফের নতুন উন্মাদনা। 'দাদা' নেই তো কী হয়েছে! দাদার নির্ধারিত দিনেই হবে যজ্ঞ, খবর সূত্র মারফত।
অনুব্রত মন্ডলের বাড়ির উপর যে প্যান্ডেল বাঁধা হয়েছিল, তা কিন্তু খুলে ফেলা হয়নি। নতুন করে সেই প্যান্ডেল সাজিয়ে তোলা হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে আজ ১৫ অগাস্ট, সোমবারই হোমযজ্ঞের অনুষ্ঠান হবে বলে জানালেন কেষ্ট-অনুগামীরা। এই হোমযজ্ঞের কারণ কী? দাদার মঙ্গলকামনা, বলছেন একাংশ।
ছিলেন একজন সামান্য মাছ ব্যবসায়ী। দৈনিক রোজগার ছিল মেরে কেটে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। আর চার-পাঁচজন সাধারণ মানুষের মতোই। কথায় আছে, 'আঙুল ফুলে কলাগাছ'! একথা বোধহয় কেষ্টর জন্য সর্বৈব সত্য। গত কয়েক বছরে দিন দিন তাঁর ক্ষমতা, প্রতিপত্তির যে বহর বীরভূমের মানুষ দেখেছেন, আজ এমন কথা শুনে অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইছেন না। তবে অনুব্রত বিরোধী এক গোষ্ঠীর অভিমত, আরও খুঁজুন। দেখবেন দৈনিক রোজগার কোথায় পৌঁছে যায়। তবে সেই অনুব্রত নাকি দানধ্যান করেন। সঙ্গে পুজোআচ্চাও।