গরুপাচার মামলার সঙ্গে কি সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে বীরভূমের একাধিক পুলিশকর্মীর? সূত্রের খবর, সিবিআই সন্দেহের তালিকায় এমনই একাধিক পুলিশকর্মীর নাম উঠে এসেছে। এমন কয়েকজন পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যাঁরা বিগত ৮ বছর বীরভূমের বাইরে বদলি হননি। দেখা গেছে, অধিকাংশ জনের বীরভূমের ভেতরে বিভিন্ন থানায় বদলি হয়েছে। একদিকে কয়লা পাচার মামলায় রাজ্যের আট পুলিশ কর্তাকে দিল্লিতে তলব করেছে ইডি, এর উপর কয়লা পাচারের সঙ্গে এবার গরুপাচারেও যে পুলিশকর্মীদের যোগসূত্র রয়েছে, তা একপ্রকার নিশ্চিত সিবিআই।
ইতিমধ্যেই অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী শেহগাল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। সূত্রের খবর, শেহগাল হোসেনের সঙ্গে সরাসরি একজন পুলিশ কর্মীর যোগাযোগ পেয়েছে সিবিআই। একই সঙ্গে তিনি নাকি অনুব্রত মন্ডলের ঘনিষ্ঠ। গরুপাচারের লভ্যাংশ এদের কাছেও নাকি সরাসরি পৌঁছে যেত। এবার এই মামলায় তাঁদেরও তলব করতে পারে সিবিআই।
এই বিপুল অর্থ ভাণ্ডার কীভাবে তৈরি হল? গরু, কয়লা পাচার থেকে বেআইনি বালি, পাথর খাদান, বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা থেকে এই টাকা জমা পড়ত ‘কেষ্ট’র তহবিলে। বীরভূমের ‘মুকুটহীন সম্রাট’ তো তিনিই। অর্থের জোগানের তদন্তে নেমে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। তবে সব টাকা তিনি নিজে খরচ করতেন না কিংবা নিজের কাছে রেখে দিতেন না। ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, প্রচুর দানধ্যান করতেন। দলের কাজ করতেন। মানুষের বিপদে পাশে দাঁড়াতেন। আর একটা বড় অংশ জমা থাকত নিরাপত্তারক্ষীর কাছে এবং নাকি একজন বিধায়কের কাছে। যে বিধায়ক বর্তমানে সিবিআইয়ের নজরে।
প্রতিটি বেআইনি কাজের ভাগ আসত অনুব্রতর কাছে দাবি এমনটাই করছে সিবিআই। অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী শেহগাল হোসেন গোটা বিষয়টি দেখতেন। তাঁর পাশে ছিল প্রায় ২২ টি ফোন, ৫০ খানা সিম। বালি, কয়লা, গরু সবেতেই ছিল কমিশনের ব্যবস্থা। যে রুট দিয়ে পাচারের মাল যাবে, সেই রুটের সমস্ত পুলিশ স্টেশনও নাকি মালের বখরা সময় মতো পৌঁছে যেত। একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। রীতিমতো সিন্ডিকেট রাজ চলত বীরভূম জেলা জুড়ে।