অনুব্রত মণ্ডল কি 'শিবভক্ত'? তিনি কি শিবেরই অনুচর? অন্তত শিব নামাঙ্কিত চালকলগুলি দেখে অনেকেই তাই মনে করছেন। যদিও খাতাকলমে কোন চালকলের মালিক তিনি নন, তবুও বকলমে তিনিই যে চালকলগুলি চালান, বলছেন রাজনৈতিক মহল।
পরপর কয়েকটি চালকলের হদিশ পেয়েছে সিবিআই। 'ভোলে বোম', 'শিবশম্ভু' চালকলের সন্ধান তো আছেই, আরও একটি চালকল 'শঙ্কর রাইসমিল'-র সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অনুমান, এটিও অনুব্রত মণ্ডলের। তবে সরাসরি কোন চালকলই অনুব্রত মন্ডলের নামে নয়। কখনও নিজের মেয়ে কিংবা প্রয়াত স্ত্রীর নামে, আবার কখনও ভিন্ন মালিকানায়। গোয়েন্দাদের অনুমান, বেনামে এই চালকলগুলি আসলে অনুব্রত মন্ডলই চালাতেন। যাতে সহজে ফাঁকি দেওয়া যায়।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের চাল যেত অনুব্রত মন্ডলের চালকল থেকেই। অন্তত কয়েক কোটি টাকার চাল কেনা হয়েছিল এই চালকলগুলি থেকে। এই লেনদেন কতটা সঠিক তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন একাংশ। পাশাপাশি বিরোধীদের দাবি, খুঁজলে কেষ্টর নামে এমন অসংখ্য রাইসমিলের সন্ধান মিলতে পারে। দিলীপ ঘোষের দাবি, অনুব্রত মণ্ডলের নামে অন্তত ৬০ টি চালকল আছে।
এই চালকলগুলিতেই কি কালো টাকা সাদা করার কাজ চলত? গোয়েন্দাদের অনুমান, গরুপাচারের কোটি কোটি টাকা এই চালকলগুলিতেই ব্যবহার করা হত। 'শিবভক্ত' অনুব্রতের চালকলের আড়ালেই কি চলত এমন কারবার? প্রশ্ন সব মহলেই!