সিনেমার চিত্রনাট্য ফেল। আগে ছিলেন 'সংলাপ-গুরু' , আর এখন 'ভ্যানিশ-মাস্টার'। ভরদুপুরে সবার চোখে ধুলো দিয়ে ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। নির্বাচন কমিশনের আধিকারিক থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে গিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্টদা।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে কমিশনের নজরবন্দি অনুব্রত মণ্ডল। সেই মোতাবেক বাড়ির সামনে কমিশনের লোকজন এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কড়া নিরাপত্তায় নজরবন্দি বীরভূমের দাপুটে নেতা। আগামীকাল বীরভূমে নির্বাচন। তার আগে অনুব্রতকে নজরবন্দি করেছিল কমিশন। বুধবার দুপুর বারোটা নাগাদ কমিশনের আধিকারিকদের সামনে বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকার বাড়ি থেকে বের হন তিনি। তাঁর গাড়ির পেছনে ছিল কমিশনের আধিকারিকদের গাড়ি ও সিআরপিএফ জওয়ানদের গাড়ি। হঠাৎ এক রাস্তার বাঁকের পাশে অনুব্রত মণ্ডলের গাড়ি উধাও হয়ে যায়। কমিশনের লোকজন তাজ্জব বনে যায়। গাড়ি খুঁজতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা রীতিমত হিমশিম। চারদিকে খোঁজ খোঁজ রব পড়ে গেলেও বেশ কয়েক ঘণ্টা অনুব্রত মণ্ডলের কোন সন্ধান করতে পারেন নি কমিশনের লোকজন।
কয়েক ঘণ্টা কমিশনের লোকজনদের চরকি পাক খাইয়ে অবশেষে খোঁজ মেলে অনুব্রত মণ্ডলের। কমিশনের লোকজন যখন হন্যে হয়ে খুঁজছেন, তখন কেষ্টবাবু তারাপীঠের মন্দিরে মায়ের কাছে সময় কাটাচ্ছেন। গত লোকসভা ভোটেও অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করেছিল কমিশন। ঘরে থেকে তিনি লোকেদের 'গুড়-বাতাসা' খাইছিলেন, আর এবার কমিশনের চোখে ধুলো দিয়ে নতুন 'খেলা' শুরু করলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক একাংশ।